![](http://www.studyandjobs24.net/assets/records/news/201708/1958_186.jpg)
শরীয়তপুরে ভাঙছে পদ্মা, ভাসছে মানুষ। গত কয়েক দিনের পদ্মার ভাঙন আর বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা শরীয়তপুরের হাজার হাজার মানুষ।
পদ্মার পাড়ের আশেপাশের প্রায় ২০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শরীয়তপুরের জাজিরা –নড়িয়ায় ২৬৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। দুই উপজেলায় ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ডুকে পড়ায় পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে।
এছাড়া নড়িয়ায় ১২টা জাজিরা ৭টি বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমে পানি থাকায় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে জেলা প্রশাসক জানায় শিঘ্রই পানি কমতে শুরু করবে। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানালে জেলা প্রশাসন।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর পৌরসভা সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার পাসাপাশি ভাঙন কবলিত হওয়ায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ।
চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘরে মাচা পেতে থাকতে হচ্ছে অনেক পরিবারের। দুর্গতদের দাবি তাদের কোন সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিতদেও ত্রাণ সহায়তা দিলেও বন্যা দুর্গোতদের কোন সহায়তা দিতে পারেনি।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ১২টি ও জাজিরায় উপজেলায় ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস রুমে হাটু পানি ঢুকায় বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া জাজিরা ও নড়িয়ায় ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকায় পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়ায় ২শ ৬৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা ও বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে জেলার ছোট নদী গুলোর শাখা দিয়ে। তবে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙন। এখনও সরকারি বেসরকারি ভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা পান নি বন্যা কবলিতরা। বন্যা ভাঙন কবলিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দুর্গতরা।
গো খাদ্যারসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন কাটছে দুর্গত মানুষের। ভাঙন ও বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়ায় ভাসছে মানুষ, ভাঙ্গছে নদী। নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা ও ভাঙন কবলিদের হালনাগাদ তালিকা করা হয়েছে। যাছাই-বাছাই করে ২ হাজার ৫শ পরিবারকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিঘ্রই বিতরণ শুরু কারা হবে বলে জানান- মাহবুবা আক্তার, জেলা প্রশাসন শরীয়তপুর।
এসব সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেবেন এমনটাই আসা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উৎস্যঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন