চট্টগ্রাম টেস্টে উইকেটের পেছনে তাঁর পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ হতে না হতেই পুরনো আলোচনা নতুন করে জোরদার।
মুশফিকুর রহিমকে আবার উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য একসময় তাঁর মতোই একাধারে ব্যাটিং ও কিপিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়কত্বও করা খালেদ মাসুদ এসবে কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না।
আপনি নিজে যখন অধিনায়ক ছিলেন, একাধারে তিনটি সামলাতে গিয়ে কি কোনো সমস্যা কখনো অনুভব করেছেন?
খালেদ মাসুদ : একদমই সমস্যা হয়নি কখনো। আর ‘একাধারে’ শব্দটি নিয়ে আমার আপত্তি আছে। কারণ আপনি যখন ব্যাটিং করছেন, তখন নিশ্চয়ই উইকেটকিপিং করতে হচ্ছে না। তখন আপনি শুধুই ব্যাটসম্যান। তবে হ্যাঁ, উইকেটকিপিংয়ের সময় অধিনায়কত্বও করতে হয়। উইকেটকিপারের পক্ষে যে কাজটি করা খুব কঠিনও নয়। এখনকার দিনে তো আরো সহজ। বাংলাদেশ দলের কথাই ধরুন।
দুজন পেসারের জন্য একজন ফাস্ট বোলিং কোচ। আবার দুই স্পিনারের জন্যও একজন কোচ। আগেকার দিনের মতো অধিনায়ককে তাই অত মুখ চালাতেও হয় না।
প্রশ্ন : কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে অনেকেই মুশফিককে উইকেটকিপিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে একমত হয়ে যাচ্ছেন।
মাসুদ : আমি মনে করি মুশফিক ভালোই করছে। সমস্যা হলো ফল একটু খারাপ হলেই এ রকম আলোচনা শুরু হয়ে যায়। কই, ঢাকায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর তো কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। এমন তো নয় যে চট্টগ্রামে মুশফিক যেমন উইকেটকিপার ছিল, ঢাকায় এর চেয়েও ভালো ছিল। একই মুশফিক ছিল সে। ফল খারাপ হওয়ায় এখন এত কথা হচ্ছে। ধরুন তিনটি দায়িত্বের কারণে চাপ বেশি যাচ্ছে বলে ওকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন। এর পরও কি আপনি নিশ্চিত যে মুশফিক স্টাম্পিং মিস করবে না বা ক্যাচ ফেলবে না? আবার ধরুন উইকেটকিপিং থেকে অব্যাহতি দিয়ে শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলালেন। প্রত্যেক ম্যাচেই ওর কাছ থেকে বড় ইনিংস পাওয়ার নিশ্চয়তা কি তাতে আছে?
প্রশ্ন : চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকের চারে না নামা নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে!
মাসুদ : এখন কেন কথা হবে? আগে কেন হলো না? এই ভাদ্র মাসের প্রচুর গরমে খেলতে হবে, সেটি তো নিশ্চয়ই ম্যানেজমেন্টের অজানা ছিল না। ভাগ্য ভালো যে চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১১৯.৫ ওভার খেলেছে। যদি খেলত ১৭০ ওভার, তাহলে ব্যাটিং করার জন্য মুশফিককে খুঁজে পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ। এই গরমে ওর ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
প্রশ্ন : মুশফিকের রক্ষণাত্মক নেতৃত্ব নিয়েও কম সমালোচনা হয় না!
মাসুদ : এই সমালোচনায়ও আমার আপত্তি আছে। আমি যত দূর শুনেছি মুশফিক অধিনায়ক নয়। ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে কখন কে বোলিং করবে, সব হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের নির্দেশনাতেই হয়ে থাকে। আমি আগে নিশ্চিত হতে চাই ব্যাপারটি সত্যি কি না। এরপরেই না হয় মন্তব্য করি!