দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৯৫টি। তবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শাখা ক্যাম্পাস খোলা, কর্তাব্যক্তি নিয়োগে উদাসীনতা, বছরের পর বছর আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, শিক্ষার পরিবেশ না থাকা, অননুমোদিত কোর্স পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
দফায় দফায় আলটিমেটাম দিয়েও বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব।
কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে। সব মিলিয়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা খাতে। নানা উদ্যোগ নিয়েও সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। শিক্ষাবিদরা বলছেন, অবিলম্বে গতানুগতিক ধারার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন বন্ধ করতে হবে।
জানা গেছে, অনুমোদনের লক্ষ্যে সম্প্রতি আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করেছে ইউজিসি। শিগগিরই এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রতিবেদন পাঠানো হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি।
ইউজিসি সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে রংপুরের ধাপ এলাকায় রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল ওমেন ইউনিভার্সিটি। তবে বিভাগের নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রংপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৯৫টি। এরপর গতানুগতিক ধারার আর কোনো সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া বিদ্যমান বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, গতানুগতিক ধারার এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।