রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক মো. হাছানাত আলীকে বেধড়ক মারধর করেছে ওই ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই শিক্ষকের বাম চোখে জখম হয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

মারধরকারী আবু নাহিদ মোহাম্মদ হায়দার ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) এমবিএ (দিবা) নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাকে আটক করে নগরীর মতিহার থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আটক নাহিদের স্ত্রী নাহিদা হায়দারের দাবি, ‘শিক্ষক হাছানাত আলী তার স্বামী আবু নাহিদকে বাবা-মা তুলে গালি দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়েছেন।’

তবে বাবা-মা তুলে গালি দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক হাছানাত আলী।

 

এদিকে এ ঘটনায় সন্ধ্যায় আইবিএ'র পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক হাছানাত আলী যুগান্তরকে বলেন, ‘আবু নাহিদ নামে ওই শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। ফলে রিপোর্ট পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে আগের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর আসতে বলেছিলাম। কিন্তু নাহিদ সেদিন না এসে সোমবার দুপুরে এসে আমাকে ফোন করে। আমি তখন ব্যক্তিগত কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। তাকে দুপুর আড়াইটার দিকে আসতে বলি। সে সময় আমার একটি পূর্বনির্ধারিত ক্লাস থাকায় তাকে ক্লাস শেষে রিপোর্ট নিয়ে দেখা করতে বলি। ক্লাসে যাওয়ার পথে হঠাৎ সে আমার পথরোধ করে রিপোর্ট দেখার জন্য জোর করতে থাকেন। একপর্যায়ে সে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং গালাগাল করে।’

শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ বিষয়ে জানতে পুলিশ হেফাজতে থাকা আবু নাহিদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ করেন তার স্ত্রী নাহিদা হায়দার।

তিনি  বলেন, ‘ওই স্যারের (অধ্যাপক হাছানাত আলী) অধীনে ইন্টার্নশিপ করায় রিপোর্ট দেখাতে এবং স্বাক্ষর করাতে আমার স্বামী নাহিদ বারবার যেত। স্যার নাহিদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত বলে আমাকে বলেছিল নাহিদ। সোমবারও স্যার নাহিদের বাবা-মা তুলে গালাগাল করায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’

 

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। সে মতিহার থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইবিএ এ বিষয়ে জরুরি সভা ডেকেছে। সভার সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে জানালে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নগরীর মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওই ছাত্রকে থানায় রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 


Comments