আয়োজনটি হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ মিলনায়তনে। নাম ছিল ‘লার্ন টু লিড’।
ছিলেন ১০০-রও বেশি ছাত্র-ছাত্রী।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার তাসমিয়া নোভা সবাইকে স্বাগত জানানোর পর ইউনিলিভার বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার কেদার লেলে তাঁর কর্মময় জীবন তুলে ধরলেন।
তিনি তাঁর ইউনিলিভারে যোগদানের গল্প ও জীবনযুদ্ধের কথা বলেন। জানান, অনেক কাজেই ব্যর্থ হয়েছেন। তার পরও কখনো মনোবল হারাননি। সামনের দিকে এগিয়েছেন, পেছনে ফিরে তাকাননি।
তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন, ‘আপনি আমাদের ব্র্যান্ড ও টেকসই ব্যবসায়িক বুদ্ধির সঙ্গে নিজেকে পরিচালিত করে মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে পথ আবিষ্কার করতে পারবেন। আমাদের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখার সুযোগ আছে। আমাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, আমাদের এই সমাজ-রাষ্ট্রে স্বেচ্ছাসেবী অবদান আছে।
বাংলাদেশের সমাজের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে। ’ তাঁকে প্রশ্ন করে বিস্তারিত জেনেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ফাইনাল ইয়ারের এক ছাত্রী প্রশ্ন করেন, ‘অন্য পণ্যের চেয়ে আপনাদের আলোচিত পণ্যটি কিভাবে বাজারে সেরা হিসেবে জায়গা করে নেবে, সে কৌশল কী?’
একই বর্ষের আরেকজন প্রশ্ন করেন, ‘পণ্যের কিভাবে ব্র্যান্ডিং করা যায় বা কোন মাধ্যমে পণ্যটি জনপ্রিয় হতে পারে?’ অনেকে জানতে চান, বড় কম্পানিতে চাকরি পেতে হলে কী করতে হবে?
চাকরির জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সময় কোনটি? তিনি সব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন। তিনি ছাড়াও অনুষ্ঠানে আইবিএর সাবেক ছাত্র-ছাত্রী ও বর্তমানে ইউনিলিভারের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার জিসান রহমান বলেন, ‘চাকরিকে সব সময় এনজয় করতে হবে। তাহলে সবই খুব সহজ হয়ে যাবে। নিয়মানুবর্তিতা খুব জরুরি। ’
এরপর ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুমাইয়া তাবাসসুম তাঁর ইউনিলিভারে যোগদানের গল্প বলেন। তিনি ইউনিলিভারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বিজমোয়েস্ট্রোজের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে অনলাইনে আবেদন থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামনে ইন্টারভিউ—কিছুই বাদ যায়নি।
চাকরি পাওয়ার সুখের গল্পও তিনি বলেছেন। তিনি নেতৃত্বদান, প্রতিটি মুহূর্তের চ্যালেঞ্জের কথা শোনান। এরপর ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি সুদীপ্তা সাহা বলেন, ‘এখানে আইবিএর ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সুযোগ আছে। কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই এখান থেকে পাস করেছেন।
’ তিনি বলেন, ‘নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ’ এইচআর বিজনেস প্রমিতি সালেহ এখানকার সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। ফিন্যান্স ম্যানেজার মুশফিক মালিকও বক্তব্য রাখেন।
এরপর ‘ইউনিলিভার বিজমাইস্ত্রস ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আইবিএর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেফতাউল হাসান জানান, “এই আয়োজনের মাধ্যমে ‘ইউনিলিভার বিজমাইস্ত্রস ২০১৭’ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।