রক্ষণশীল ধর্মীয় দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে চালু হচ্ছে সিনেমা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত এসেছে।
সাম্প্রতিক সৌদি মিডিয়াগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে, অচিরেই রিয়াদে সিনেমা চালু হবে।
এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে দেশটিতে সিনেমার যুগ।
এমনকি সিনেমা কার্যক্রমে কোন কোন ব্যক্তিগোষ্ঠি অংশ নিবেন তাদেরও লিস্ট তৈরী হয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিভিন্ন ব্যক্তি এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরব ধর্মীয় পদস্খলন ঘটবে।
তারা বলছেন, সিনেমা কখনও দেশের বেকারত্ব স্বাস্থ্য, সেবা এবং দুর্ণীতি রোধ করবে না। এর পরিবর্তে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা যেতে পারে।
এ মতের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে কেউ কেউ বলছেন, সৌদি আরব অনেক পিছিয়ে আছে।
ধর্মীয় স্থবিরতা দেশকে অক্ষম করে রেখেছে। ‘২০৩০ ভিশন’ দেশকে অনেক উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ধর্মীয় অঙ্গন থেকে বলা হচ্ছে, সৌদি আরব অন্য কোন দেশের মত নয়, এদেশের জনগণ শরীয়াহ বাস্তবায়ন চায়। শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ সমর্থনযোগ্য নয়।
এদেশ সকল মুসলমানের অন্তরের কামনাস্থল, পবিত্র কাবার কারণে।
তারা আরো বলেছেন, ইসলামী শরিয়তই ব্যক্তি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ সফলতা আনতে পারে। কেননা তা ঐশী বিধান।
আরব উপদ্বীপে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন সভ্যতা ছিল না। যুগে যুগে মুসলমানদের সভ্যতাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা