আসন্ন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোবাইল, ক্যালকুলেটরসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া হবে না।
এমনকি হাতঘড়ি নিয়েও প্রবেশ করা যাবে না।
এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
এবার সারা দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে ৬ অক্টোবর।
আর ডেন্টাল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০ নভেম্বর।
২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৩ হাজার ১৬২ জন।
অন্যদিকে ৬৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৫ হাজার ৩২৫টি।
সরকারি নয়টি ডেন্টাল কলেজে ৫৩২টি আসন রয়েছে। ২৪টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে আসন রয়েছে ১ হাজার।
বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বিশেষ করে ২০১৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
৫ মেডিকেল কলেজে ভর্তি স্থগিত
সরকারি নীতিমালা না মানায় ৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে (শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-২০১৮) শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত)-এর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শর্ত না মানায় ছাত্রছাত্রী ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে কুলসুম স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে কী কারণে কোন কোন মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না- তা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভর্তি স্থগিত মেডিকেল কলেজগুলো হলো— রাজধানীর গুলশানের শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আদ-দ্বীন বসুন্ধরা মেডিকেল কলেজ, উত্তরা আবদুল্লাপুরের আইচি মেডিকেল কলেজ, মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও ধানমণ্ডির নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে মেডিকেল কলেজ স্থাপন, অনুমোদন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, আসন বৃদ্ধি ও নবায়ন বৃদ্ধিসংক্রান্ত এক সভায় ওইসব মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমানে সরকারি ৩১টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৬৯টি। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মিলিয়ে মোট আসনসংখ্যা ৯ হাজার ৫৬৮।
তার মধ্যে সরকারি ৩ হাজার ৩১৮ ও বেসরকারি ৬ হাজার ২৫০টি আসন।
আগামী ৬ অক্টোবর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় ৮২ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
মেধা তালিকার ভিত্তিতে উত্তীর্ণদের প্রথমে সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন পূরণের পর বেসরকারিতে ভর্তি শুরু হবে।