মাদকাসক্ত নারীদের অর্ধেকের বেশি ইয়াবায় আসক্ত।ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ‘নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ চিকিৎসা নেওয়া ৯৫ জন মাদকাসক্ত নারীর ওপর চালানো জরিপের ফল থেকে দেখা গেছে, নারী মাদকাসক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৬ শতাংশ ইয়াবা সেবনকারী।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাদক হিসেবে ঘুমের ওষুধ নিয়ে থাকে ৩৩ শতাংশ নারী, সিগারেট ৩২ শতাংশ, মদ ২৮ শতাংশ, গাঁজা ২৬ শতাংশ, ফেনসিডিল ৯ শতাংশ, হেরোইন ৫ শতাংশ, পেথেড্রিন ৩ শতাংশ এবং ১ শতাংশ নারী ড্যান্ডি নিয়ে থাকে।

জরিপে তথ্য তুলে ধরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী এবং সিনিয়র কাউন্সেলর আমির হোসেন বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ৯৫ জনের পরিবারের মধ্যে ১৬ শতাংশের স্বামী, ১৬ শতাংশের ভাই, ৪ শতাংশের বোন, ৪ শতাংশের বাবা ও ২ শতাংশের মা মাদকাসক্ত ছিলেন।

এ ছাড়াও ৩৪ শতাংশ নারীর একাধিক যৌন সঙ্গী আছে এবং ৪৪ শতাংশের অনিরাপদ যৌন অভিজ্ঞতা আছে। তাদের ১১ শতাংশ মাদক সংক্রান্ত মামলায় জড়িত।

মাদক আসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে কৌতুহল, বন্ধুদের চাপ, মানসিক বিষাদগ্রস্থতা, পারিবারিক কলহ, বাবা-মায়ের মাদকাসক্তি এবং মাদকের সহজলভ্যতাকে দায়ী করা হয়।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদ জানান, ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ‘নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ যাত্রা শুরু করে।

মাদক নিয়ে পুরুষদের বিষয়গুলো আগে আসলেও নারী ও শিশুদের মধ্যে এর যে ভয়াবহতা রয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ইশরাত শারমীন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী সহযোগী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান কামাল আহমেদ চৌধুরী এবং আহ্ছানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সেলর শারমিন আবেদীন ইরা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী এবং সিনিয়র কাউন্সেলর মো. আমির হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রধান এবং ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফাইড কাউন্সেলর ইকবাল মাসুদ।

 


Comments