কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়, আলাদা একটি দেশ। এটি জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি নয়, ক্লাস সেভেনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে বসানোর ব্যবস্থা বিহারে।
বিহারের শিক্ষা সংসদের এমন প্রশ্নে বিস্ময়ের শেষ নেই। প্রশ্নপত্রে একটি উদাহরণ দিয়ে বলা হয় চিনের নাগরিকদের বলা হয় চিনা। তাহলে নেপালের নাগরিকদের কী বলা হবে?
এভাবে জানতে চাওয়া হয় কাশ্মীরের নাগরিকদের কী নামে ডাকা হবে? ইংল্যান্ড এবং ভারতীয়দের ক্ষেত্রে কী হবে? একেকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে পড়ুয়াদের মিলবে ২ নম্বর।
প্রশ্নপত্রে পরিষ্কার নেপাল, ইংল্যান্ড, ভারতের মতো কাশ্মীরও একটি আলাদা দেশ। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শুধু রাজ্য নয়, জম্মু-কাশ্মীরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছে ভারতের সংবিধান। তারপরও কীভাবে প্রশ্নে কাশ্মীরকে আলাদা দেশ বলে বিবেচনা করা হল তা বুঝতে পারছেন অনেকেই।
বিহারের সমস্ত স্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই প্রশ্ন দেওয়া হয়। সর্বশিক্ষা অভিযান পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। বৈশালির এক পড়ুয়া বিষয়টি তুলে ধরে। বিতর্কিত প্রশ্নপত্র সামনে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কাশ্মীর নিয়ে কেন এমন অবাস্তব প্রশ্ন করা হল তা নিয়ে সরব হয়েছে বিহারের বিরোধী দলগুলি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে দায় এড়ানোর খেলা।
বৈশালির জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক সঙ্গীতা সিনহা জানান তিনি ছুটি কাটিয়ে সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
তবে বিহার শিক্ষা সংসদ অবশ্য গাফিলতির কথা মেনেছে। তাদের বক্তব্য বিষয়টি বিব্রতকর। ছাপার ভুলের জন্য এই অবস্থা হয়েছে।
ছাপাখানার ভুল বলে হাত তুলতে চাইছে বিহারের শিক্ষা দপ্তর। ছাপাখানা থেকে প্রশ্ন আসার পর একপ্রস্থ দেখে নেওয়া নিয়ম। তাহলে ঝাড়াই-বাছাই পর্ব কি উঠে গেল বলে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহল।
তাদের বক্তব্য, যে রাজ্যে বোর্ডের পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারীকে প্রতারণার অভিযোগে জেলে যেতে হয় সেখানে এসব ঘটনা একেবারেই ছোট। অতএব বিহার আছে বিহারেই।