দুম করে ঢুকে পড়েছিলেন গ্রাম প্রধানের বাড়িতে। বৃদ্ধের জ্ঞানই ছিল না যে গ্রাম প্রধানের বাড়িতে ঢুকতে হলে অনুমতি নিতে লাগে।
উদ্ভট এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের নালন্দা জেলার নুরসরাই ব্লকের অজয়পুর গ্রামে। সেখানে একসময় থাকতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
জানা গেছে, সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য গ্রাম প্রধান তথা সরপঞ্চের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। কোনও প্রকার অনুমতি ছাড়াই সেই বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি।
গ্রামের অতি সাধারণ একজন মানুষের কি করে ধৃষ্টতা হয় কি করে, কাউকে কিছু না বলে সরপঞ্চের বাড়িতে ঢুকে পরার!
সরপঞ্চ মানে তো সমগ্র গ্রামের মাথা। সেই বাড়িতে ঘারে একটি মাত্র মাথা নিয়ে ঢোকার সাহস দেখিয়ে ফেলেছিলেন সেই বৃদ্ধ। তাও আবার বিনা অনুমতিতে! এই অপরাধের কারণে মাটিতে থুতু ফেলে তা চাটতে বাধ্য করা হল ওই বৃদ্ধকে।
ছবিতে দেখা গেছে, যে যেখানে থুতু ফেলে তা ওই বৃদ্ধকে চাটানো হয়েছে সেই জায়গায় রয়েছে বেশ কয়েক জোড়া জুতা। সরপঞ্চের বাড়ির লোকেদের জুতা রাখার জায়গায় থুতু ফেলে চাটতে বাধ্য করা হয়েছে তাকে।
এখানেই অবশ্য শেষ যায়নি শাস্তি। বিনা অনুমতিতে সরপঞ্চের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বলে কথা! একটি ভিডিও-তে দেখা গেছে সরপঞ্চের বাড়িতেই দুই মহিলা ওই বৃদ্ধকে জুতা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করছেন।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেও খুব একটা সময় নেয়নি। সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
মাস খানেক আগে সেই গেরুয়া শিবিরই জোট বেধে সরকার গঠন করেছে বিহারে। স্বভাবতই এই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে বিহার প্রশাসন। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মন্ত্রী নন্দ কিশোর যাদব।
বিহারের মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন্দ কিশোর বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।