চলতি বছরের আয়কর মেলা শুরু হবে ১নভেম্বর, ২০১৭ বুধবার থেকে। চলবে ১ সপ্তাহব্যাপী।
চলতি অর্থবছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন করদাতা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এতে বাড়তি আয়কর রিটার্ন দাখিল হতে পারে অন্তত ৩ লাখ।
আগামী আয়কর মেলাকে সামনে রেখে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে কর বিভাগ। তবে অর্থনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মানুষের আয়ের সাথে কর দেয়ার গরমিল রয়েছে। পহেলা নভেম্বর থেকে শুর হওয়া এই মেলা চলবে সপ্তাহব্যাপী।
ব্যাক্তিশ্রেণির করদাতাদের ভিন্ন এক পরিবেশ নিশ্চিত করতে গত ৭ বছর ধরে এনবিআর আয়োজন করে আসছে আয়কর মেলা।
এই মেলায় এক ছাদের নিচে এ সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা পাওয়া যায়। তাই স্বাচ্ছন্দে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে কর দিতে এনবিআর প্রতিবছর সাড়া পাচ্ছে করদাতাদের।
এদিকে ১৬ কোটি মানুষের দেশে নিবন্ধিত করদাতা ৩০ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেন এমন সংখ্যা আরো কম। যা গত বছর পর্যন্ত ছিলো পৌনে ১৬ লাখ। তবে এবার এর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখের কিছু বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।
এ সম্পর্কে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জনসংখ্যার তুলনায় রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা কম। তবে যাদের করযোগ্য আয় আছে তাদের আমরা রিটার্ন দাখিলের মধ্যে নিবন্ধন করে আওতায় এনে এর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
এ বছর আটটি বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী জেলা পর্যায়ে চার দিন, এছাড়া ১৬৫টি উপজেলায় আয়োজন করা হবে আয়কর মেলা। এদিকে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে এবার নতুন ধারণা যোগ করেছে এনবিআর। সংস্থাটি জানায় সারাদেশে ২২০টি জায়গায় আয়কর ক্যাম্প করা হচ্ছে।
তবে আয়কর আদায় নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার বিভিন্ন উদ্দ্যোগ আর সচেতনতা তৈরি করলেও আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রে এখনো ভারসাম্য অবস্থা তৈরি হয়নি।
আর ব্যবসায়িদের মতে, করদাতা আর গ্রহীতা দু’পক্ষের সহযোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এ সম্পর্কে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আয়কর আদায়য়ের জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। আর এনবিআর এর সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। তবে জনগণকে হয়রানির থেকে বিরতে রেখে।’
চলতি অর্থবছরে আড়াই লক্ষ কোটি টাকার যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেখানে শুধু আয়কর থেকে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর