যে কোন পরীক্ষার জন্যই পূর্ব প্রস্তুতি একটি দরকারী বিষয়। প্রস্তুতি শুরু হয় বাসা থেকে। তারপর তা সমাপ্ত হয় পরীক্ষার হলে।
নিচের প্রস্তুতি গুলো আপনাকে সহায়তা করবে।
* পরীক্ষার রুটিন দেখে কোন পরীক্ষা আগে পরে বিবেচনা করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং ভালো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি এমন বিষয়গুলোর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশি সময় দিয়ে প্রস্তুতি নেয়া।
* প্রথম দুটি পরীক্ষার জন্য সবার আগে ভালো করে প্রস্তুতি নেয়া।
* একটি ‘টু ডু লিস্ট’ বা ‘করণীয় তালিকা’ নিজেই তৈরি করে নেয়া। তালিকায় সংক্ষিপ্ত রুটিন করে নেয়া যেতে পারে। কখন কী পড়বে, কখন ঘুমাতে যাবে, বিশ্রামের সময়, অন্যান্য করণীয় ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত পরিসরে লিখে মেনে চলার চেষ্টা করা। মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করে নেয়া।
* শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া। অহেতুক ভ্রমণ, কষ্টসাধ্য খেলাধুলা না করা। রোদে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা পরিহার করা। কোনো রোগ-ব্যাধি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলা।
* সব সময় মনকে প্রফুল্ল রাখা। অহেতুক চিন্তা বা দুশ্চিন্তা না করা।
করণীয় নির্ধারণ কর
* পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে নিজের কাছে কোনো অপ্রয়োজনীয় কাগজ রয়ে গেল কিনা ভালোভাবে চেক করে নাও।
* পরীক্ষার আগের রাতে শোবার আগে রুটিনটা আবার মিলিয়ে নাও, আগামীকাল যে বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছ- তা ঠিক আছে কিনা।
* বল পয়েন্ট কলম, স্কেল, পেনসিল, ক্যালকুলেটর, রাবার, পেনসিল কাটার, হার্ডবোর্ড সঙ্গে নেয়া হয়েছে কিনা।
* মূল প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড রয়েছে কিনা।
* প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের একটি করে ফটোকপি আলাদা করে রাখবে।
* পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে সুনিশ্চিত হয়ে নাও।
* পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে যানবাহনে ব্যয়িত সময় হাতে রেখে রওনা করবে।
* পরীক্ষা কেন্দ্রে হেঁটে যেতে ছাতা সঙ্গে নাও।
* প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা সঙ্গে রয়েছে কিনা দেখে নাও।
* হাতঘড়ি নিয়েছ কিনা দেখে নাও।
* প্রয়োজনে বোতলে করে খাবার পানি নিয়ে নাও।
* অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে থাকলে তা ফেলে দাও।
* পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অপেক্ষাকৃত সরল ও যানজটমুক্ত রাস্তা ধরে রওনা কর।