নিজেদের বিচক্ষণতা ও দক্ষতায় আইনী প্রকৃয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রত্যেকটি আইনজীবীর দায়িত্ব। মামলার মেরিট, রিলিভেন্ট তথ্য-উপাত্ত্য, স্বাক্ষী, যুক্তি-তর্ক সব করতে হয় আইনজীবীদের। তাই অনেকেই আইন পেশাকে একটি ম্যাচিউট পেশা হিসাবে বিবেচনা করে। যেহেতু, ক্লায়েন্টের অধিকারের সঙ্গে আইন পেশার সম্পর্ক সু-গভীর। পেশার খাতিরেই আইনজীবীকে হতে হয় বিভিন্ন গুণাবলীর অধিকারী। সঙ্গে প্ররিশ্রম তো বটেই। সফলতার স্বাদ বগলদাবা করতে মানতে হয় আজন্ম কিছু নিয়ম-নীতি। চুলন জেনে নেই এই পেশায় সফল হওয়ার সেই আদ্যপান্তঃ
প্রথমেই জানতে হবে প্রচলিত আইন সর্ম্পকেঃ
প্রচলিত আইন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। নতুন নতুন উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আইন ও বিধি প্রায়ই পরিবর্তন হয় এবং নতুন মামলার সিদ্ধান্তও প্রতিদিন পরিবর্তন হবে। যেহেতু ফেডারেল আইন নিয়মিত পরিবর্তন হয় বিধায় এই নতুন আইন প্রতিদিন অনুশীলন করা ও এলাকায় পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
গবেষণা করুনঃ
নিত্য নতুন মামলার জন্য আইনী গবেষণা করে মামলার জটিলতার উত্তর বের করা উচিত। আপনি নিজেকে সবজান্তা মনে করবেন না ,এমনকি যদি একই বিষয় নিয়ে কয়েক বছর ধরে চর্চা করে থাকেন তবুও না। প্রতিদিনই নতুন বিষয় নিয়ে মামলা আসবে এবং এর সমধান পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই গবেষণা করতে হবে। আইনগত গবেষণা পদ্ধতি গত ২০ বছর ধরে নাটকীয় ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আপনি ইলেকট্রনিক গবেষণা পদ্ধতির সাথে সুপরিচিত তা নিশ্চিত করুন। যেমন- আপনি ভালো আইনজীবী ফার্মের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
আইনী শিক্ষার সেমিনার গুলোতে (CLE) নিয়মিত উপস্থিতি থাকার চেষ্টা করুনঃ
শুধুমাত্র প্রতি বছর আপনার আইনের লাইসেন্স বহাল রাখা বা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা উপার্জন করার জন্য নয় ,আপনি এই সকল সেমিনার থেকে অনেক আইনী জ্ঞান লাভ করতে পারেন। এই সকল সেমিনারে আপনি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তাদের কাজের এরিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন এবং আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর ও পেতে পারেন । উপরন্তু, সি এল ই সেমিনার আপনাকে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার এবং অন্যান্য এটর্নিদের সাথে আপনার অনুশীলনের ক্ষেত্র নিয়ে তথ্য বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়।
২য় ধাপে আপনাকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান সংগ্রহ করতে হবে
সমালোচনামূলক চিন্তাধারার অনুশীলনঃ
একজন সফল আইনজীবী হবার জন্য আপনাকে অবশ্যই আইনী ইস্যুর সব কিছু বিবেচনা করে সবচেয়ে ভালো সমাধানে আসতে হবে। সঠিক বিশ্লেষণ শুধুমাত্র আইনী সমস্যা চিহ্নিত করতেই সাহায্য করবেনা বরং সঠিক আইনী যুক্তি দিয়ে আপনার ক্লায়েন্টের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেও সাহায্য করে। কোন উপসংহারে যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনার কাছে স্পষ্টভাবে সব প্রাসঙ্গিক তথ্য আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
মক্কেল (ক্লায়েন্ট) সেচ্ছায় আপনাকে সব কিছু বলবে তা কখনো মনে করবেন না। মক্কেলরা কখনো স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করে না কারন তারা জানেনা কোন তথ্য গুলো গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটি নয়। তাই আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রশ্ন করে বের করতে হবে।
আপনার লেখার দক্ষতা বাড়ানঃ
সফল আইনজীবী হিসেবে লেখার দক্ষতার যে প্রয়োজন আছে তা প্রায় উকিলই মানতে নারাজ। কিন্তু বাস্তবতা হলো একজন আইনজীবীর অনেকটা সময় কাটে আদালতে , মোকদ্দমার জবাব এবং অন্যান্য দলিল ফাইলিং করে। এই সব নথিপত্র দক্ষতার সাথে লেখা প্রয়োজন। আপনি যদি কার্যকরভাবে লিখতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের অবস্থান অনেকটাই এগিয়ে রাখতে পারবেন। সাধারন নিয়ম হিসেবে, একটি লিখিত চুক্তি নিম্নলিখিত ভাবে তৈরি করা উচিতঃ
আপনার মামলার তথ্য স্পষ্ট করুন।
আইনী সমস্যা চিহ্নিত করুন।
আপনার ইস্যু তে কোন আইন বা বিধান এপ্লাই করবেন তা নির্ধারণ করুন।
আপনার কেস এর প্রকৃত ঘটনার উপর আইন প্রয়োগ করুন।
আপনার মামলায় যে আইন প্রয়োগ করা হয়েছে সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি উপসংহার টানুন।
মৌখিক যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করুনঃ
সকল সফল আইনজীবীর চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হয় যখন সে আদালতে, অন্য আইনজীবীদের সাথে, জুরি বোর্ড এর সামনে, অথবা তাদের মক্কেলদের সাথে কথা বলে। কারন তারা আদালতে একজন মক্কেলের অবস্থান স্পষ্ট করে, সাক্ষীকে সাফল্যের সাথে প্রশ্ন করে, জুরির সাথে তর্ক করে এবং ক্লায়েন্ট কে সন্তুষ্ট করে তাদের হায়ার করার জন্য।
ক্লায়েন্টের প্রতি সম্মান রেখে একজন আইনজীবী তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। কথার মাধ্যমেই আইনজীবী কে তার সম্ভাব্য মক্কেলকে বুঝাতে হবে যে, তিনিই মক্কেলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সঠিক ।
এছাড়াও অন্যান্য আইনজীবীদের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হতে হবে। এভাবে তারা সকল পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়ে কাজ করতে পারবে এবং মক্কেলদের পক্ষ হয়ে কার্যকরভাবে আপোষ করতে পারবে।
আদালতে, এটর্নিদের কাছে তাদের মক্কেলের অবস্থান যুক্তি তর্কের মাধ্যমে কার্যকরভাবে এবং সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে এবং মক্কেলদের পক্ষে যুক্তিতে এমনভাবে লিপ্ত হতে হবে কোন মতেই অপর পক্ষের আইনজীবীদের এবং আদালতের অসন্মান না হয়।
আদালতে নিয়মিত অনুশীলন করুনঃ
প্রতিটি আদালতের নির্দিষ্ট চর্চা আছে এবং আপনি জানেন না এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আদালত কর্মীরা আপনাকে দিতে পারে। যদিও আপনি বিচারকের সাথে নির্দিষ্ট কেস নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না, তবুও তা্দের বিভিন্ন শর্ত এবং আইনের পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করতে এবং তাদের মতামত নিতে পারেন।
যাচাই অনুশীলন সেমিনার সম্পন্ন করুনঃ
যেসকল আইনজীবীরা নিয়মিত আদালতে মক্কেলদের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের জন্য কিছু জাতীয় সংগঠন ট্রায়াল প্রশিক্ষনের প্রস্তাব করে থাকে। যেখানে সকল বিচারক ও সকল আদালত এক সাথেই অবস্থান করে,আর সেখানে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার কৌশল ও দেয়া হয় যা যে কোন আদালতে আপনার জন্য অমূল্য হতে পারে। একটি ট্রায়াল অনুশীলন সেমিনার আপনাকে শিখতে এবং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
স্থানীয় বা জাতীয় আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করুনঃ
আপনি অন্যান্য আইনজীবী এবং অভিজ্ঞ এটর্নীদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং আপনার আইডিয়া বিনিময় করতে পারেন। আইনজীবী সমিতি প্রায়ই সিএলই সেমিনার এবং শেখার জন্য অন্যান্য সেমিনার স্পন্সর করেন যা আপনার পেশাদার জীবন উন্নয়নে খুবই মূল্যবান হতে পারে। আপনি আইনজীবীদের একটি নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করতে পারেন যারা বিশেষ কোন কেস পরিচালনার জন্য আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবে। এছাড়াও আপনি আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন কমিউনিটি সেবা প্রদানে নিয়োজিত হতে পারেন।
একজন পরামর্শ দাতার খোঁজ করুনঃ
প্রত্যেক আইনজীবীর, যেমন বয়স হোক না কেন,এমন একজন অভিজ্ঞ এটর্নির প্রয়োজন যার সাথে কেস নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং যুক্তি তর্কের মাধ্যমে প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে পারেন। এই সম্পর্ক আপনার জ্ঞান বাড়ানোর সুযোগ করে দিবে যা আদালতে আপনাকে সহায়তা করবে।
৩য় ধাপে ক্লায়েন্ট, সহকর্মীবৃন্দ এবং অন্যান্য বিচারকগণের সাথে সৌজন্য প্রকাশ কৌশল রপ্ত করা
আদালতের কর্মচারী ও বিচারকদের সাথে নম্রতার সাথে কথা বলুনঃ
সবার সাথে নম্র ও ভদ্রতার সাথে কথা বলতে হবে। তাদের কথার মাঝে কোন রকম বাধা সৃষ্টি না করে তাদের কথা শুনতে হবে। আপনার পেশাদারিত্ব নির্ভর করে কিভাবে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করছেন তার উপর। বিচারক ও কর্মচারীদের সাথে অভদ্র আচরন আপনার বা আপনার মক্কেলের জন্য ভালো হবে না।
মক্কেলের সাথে বিচক্ষণতা ও অনুগ্রহের সাথে চুক্তি করুনঃ
আপনি কিছু বলার পর মক্কেল হয়তো উত্তেজিত হতে পারে তাই বলে আপনিও উত্তেজিত হবেন না, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করার চেষ্টা করুন। যাইহোক তাই বলে মক্কেলকে কোন ভাবেই আপনাকে কোন মন্দ কথা বলার বা অযৌক্তিক দাবী করার অনুমতি দেয়া যাবে না। আপনি প্রত্যেক মক্কেলের প্রতিনিধিত্ব নাও করতে পারেন বা করা উচিতও না।
আপনার মক্কেলের কথা মনোযোগ সহকারে শুনুনঃ
কখনই বিচার করবেন না, শুধুমাত্র শুনুন এবং পরামর্শ দিন। এমনকি আপনার মক্কেল যদি কোন খারাপ সিদ্ধান্ত নেয় এবং আপনার সামনে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরে, তবে ও সেখান থেকে সঠিক বক্তব্য নিয়ে পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করুন।
আদালত, মক্কেল, এবং সহকর্মীদের প্রতি সৎ থাকুনঃ
মিথ্যা দ্বারা আপনি কিছুই করতে পারবেন না এবং এতে আপনি শুধুমাত্র প্রতারক খেতাব পাবেন এবং আপানার মক্কেলরা আপনাকে বিশ্বাস করবে না, যার ফলে মক্কেলদের কাছ থেকে ব্যবসার পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন না । এমন কি অসততা আপনার লাইসেন্স ও ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে, যদি নিয়মানুবর্তী কমিশন দেখে যে আপনি আইনজীবী দের পেশাদারী আচরন বিধি লঙ্ঘন করছেন।
সাক্ষীদের সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করবেনঃ
যখন একজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে,তখন বিচার সম্পর্কিত উপযুক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন, সাক্ষী আবেগপ্রবন হয়ে পরলে তাকে উপহাস করবেন না,কিন্তু পেশাদারী দূরত্ব বজায় রাখবেন। মনে রাখবেন অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং হিংসাত্মক অপরাধের শিকার এমন সাক্ষীদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
মনে রাখবেন ,আদালতে কার্যধারা চলাকালে আপনি অন্যদের সাথে কেমন আচরন করছেন তার উপর ভিত্তি করে ও বিচারক বা জুরি আপনাকে বিচার করবেন।
৪র্থ ধাপে উচ্চতর নীতি মেনে চলুন
মক্কেল-আইনজীবী গোপনীয়তা বজায় রাখবেনঃ
একজন আইনজীবী ছাড়া তার মক্কেলের মামলা অন্য কারো চিন্তার বিষয় হতে পারে না। তাই যতটুকু তথ্য প্রকাশ করলে কার্যকরভাবে আপনার মক্কেলের প্রতিনিধিত্ব করা যাবে ঠিক তততুকু তথ্য প্রকাশ করুন।
পেশাদারী কাজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে রাষ্টের নিয়ম পালন করুনঃ
আইনজীবীদের আচরন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রত্যেক বিভাগের পেশাদারী নিয়ম কানুন আছে। আপনি সেসকল নিয়ম অনুসরন করতে ব্যর্থ হলে, সুশৃঙ্খল হয়ে না চললে, আপনার লাইসেন্স স্থগিত অথবা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
আইন মেনে চলুনঃ
আপনি কোন অপরাধ করলে বা আইন ভঙ্গ করলে, আপনাকে শুধুমাত্র ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে না পেশাদার শৃঙ্খলা অনুযায়ী তা করা হবে। অপরাধের ধরনের উপর আপনাকে কর্মচ্যুত করাও হতে পারে।
৫ম ধাপে পরিবর্তন তৈরি করুন
মনে রাখবেন সাফল্য সব সময় অর্থের মাপকাঠিতে মাপা হয় নাঃ
শুধুমাত্র হাই ফিগার রোজগার করাই প্রত্যেক আইনজীবীর সাফল্য নয়। অনেক এটর্নি আছেন যারা লিগ্যাল এইড অফিস, সরকারী অফিস, এবং অন্যান্য নিম্ন বেতনের চাকরি করে তাদের ক্যারিয়ারে পুরোপুরি সফল এবং এটি অন্যদের থেকে তাদেরকে বিশাল পার্থক্য তৈরি করে দিয়েচ্ছে।
মনে রাখবেন একটি সফল কর্মজীবনের বিভিন্ন পথ আছেঃ
কিছু আইনজীবী নিজেদের তখন সফল বিবেচনা করেন যখন তারা একটি উচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত দৃঢ় আইনের অংশীদার হয়ে থাকেন। অন্যরা একাকী অনুশীলনে ব্যস্ত থাকেন। যদিও অনেকে তাদের জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি বলতে অলাভজনক বা জনস্বার্থে কাজ করাকে বিবেচনা করেন অনেকে আবার অনেকে উচ্চ আয় করে নিজেকে সফল ভাবেন। অবশেষে, একজন আইনজীবী হিসেবে একটি সফল কর্মজীবন কি হতে পারে তা আপনার নিজের বিবেচনার বিষয়, অন্যদের নয়।
চাপমুক্ত থাকাঃ
আইনজীবীরা প্রায়ই দীর্ঘ ঘন্টা কাজ করে এবং দৈনিক বিভিন্ন কাজের চাপ মোকাবেলা করেন। কিভাবে চাপমুক্ত হবেন জানুন এবং দৈনিক এটি নিয়ন্ত্রন করুন।এই ভাবে আপনি আরো পরিষ্কারভাবে এবং শান্তভাবে চিন্তা করতে পারবেন এবং আপনার কাজ আরো কার্যকর ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আপনার পেশা নিয়ে খুশি থাকুনঃ
আপনি যেখানে আনন্দ পান না এমন পেশায় সফল হওয়া খুবই কঠিন। আপনি যদি আপনার কাজ উপভোগ না করেন, এমন কাজ খোঁজ করুন যা আপনার সাথে মানানসই এবং যে কাজ আপনি সত্যিই উপভোগ করেন।