বর্তমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এবার মানুষের তৈরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) তথা কৃত্রিম বুদ্ধিকে ‘ধ্বংসদূত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

একই সঙ্গে তিনি আবারও হুশিয়ার করেছেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই এ পৃথিবীর বাইরে কোথাও বিকল্প উপনিবেশ গড়তে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষ।

বলা হচ্ছে, পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারই সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে শিখছে। এ উন্নতির বিরোধী নন হকিং।

গত বছরও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই বিভাগে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধি সৃষ্টির লাভ বিপুল।

আমাদের ভাবনা-চিন্তাকে এআই দিয়ে যখন বহুগুণ বাড়িয়ে তোলা যাবে, কল্পনাও করতে পারি না, কোথায় গিয়ে পৌঁছব আমরা। হয় এটা মানুষের সেরা উদ্ভাবন, নয়তো সবচেয়ে খারাপ।’

তবে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খারাপ দিকটা নিয়েই বেশি চিন্তিত হকিং।

তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মানুষই তৈরি করছে কম্পিউটার ভাইরাস, যা ছড়িয়ে পড়ে দখল করছে অন্যের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক।

হকিংয়ের সন্দেহ, কিছুদিনের মধ্যেই কেউ না কেউ সাইবার দুনিয়াকে এমন মাত্রায় পৌঁছে দেবেন, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধির জোরেই যন্ত্র নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে শুরু করবে।

এখনই নানা ক্ষেত্রে এ এআইর যে রকম ঢালাও ব্যবহার হচ্ছে, সেদিন আর দূরে নেই যখন দাপটে মানুষকেও ছাপিয়ে যাবে ওই ‘ধীমান যন্ত্ররা’। ‘সে হবে জীবনের এক নতুন রূপ।’ তিনি জানাচ্ছেন, ‘আমরা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছি, যেখান থেকে ফিরে আসার আর পথ নেই।

বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে জনসংখ্যা। পৃথিবী আমাদের পক্ষে বড্ড ছোট হয়ে পড়ছে।

নিজেদের ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। অবিলম্বে বাসযোগ্য অন্য কোনো গ্রহ খুঁজে বের করতেই হবে।’

 


Comments