ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরীক্ষা অনিবার্য কারণে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এ বছর কুবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ৫৪ হাজার ৮০৯ জন শিক্ষার্থী নাম নিবন্ধন করেছে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে তাঁর বাংলোতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলার জন্য বলা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আরেকটি বৈঠক হয়। এতে শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত আছেন।
কিন্তু উপাচার্যকে তাঁর বাংলোতে বসেই ভর্তি পরীক্ষার কাজ করতে হবে।
শিক্ষক সমিতির ওই বার্তা নিয়ে উপাচার্যের বাংলোতে যান রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. আবু তাহের।
সেখানে শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ১৭ ও ১৮ নভেম্বরের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। তবে উপাচার্যকে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম তাঁর বাংলোতে বসে করতে হবে। ’
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি আমাকে বাংলাতে বসে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম চালানোর জন্য দাবি জানায়।
কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা চালাতে হলে সমন্বয় সভা করতে হয়। সেগুলো বাংলোতে বসে করা যায় না। তাই ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ’
উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে রয়েছে শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে গত ১৬ অক্টোবর থেকে উপাচার্য তাঁর দপ্তরে যেতে পারছেন না। তখন থেকেই শিক্ষক সমিতি তাঁর দপ্তরে তালা দিয়ে রেখেছে।