ঢাকা পর্বের শুরুর দিনেই দাবার গুটি যেন উল্টে গেল! আজ শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে উড়তে থাকা সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। ৩৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল সবচেয়ে কম রানে অল-আউট হওয়ার নতুন রেকর্ড হয়তো গড়তে চলেছে নাসির হোসেনের দল।
গত আসরে খুলনা টাইটান্সকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে শেষ পর্যন্ত আবুল হাসান আর তাইজুলের নবম উইকেট জুটিতে ৯ উইকেটে ১০১ রান তুলল নাসির হোসেনের দল।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় নাসির হোসেনের দল। বিপিএলের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লঙ্কান ক্রিকেটার উপুল থারাঙ্গা আজ মাত্র ১ রান করে আবু হায়দার রনির বলে উইকেটকিপার জহরুল হকের গ্লাভসবন্দি হন।
দলীয় ১৩ রানে আবারও ধাক্কা। তবে এটা আদৌ ধাক্কা কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, সুনিল নারাইনের বলে যে ক্রিকেটার ডেলপোর্টের তালুবন্দি হলেন, তার নাম সাব্বির রহমান। ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। তার ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রইল।
এরপর যা হল তা কল্পনাতীত! যে সিলেট উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে দাপট দেখিয়ে আসছে; তাদের ব্যাটিং লাইনআপ আজ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল!
অধিনায়ক নাসির হোসেন ১০ রান করে শিকার হলেন পাকিস্তানি লিজেন্ড শহীদ আফ্রিদির। হুইটলিকে (৬) ফিরিয়ে দলকে পঞ্চম উইকেট এনে দিলেন সুনিল নারাইন। ৩৪ রানে সিলেটের ৫ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেন!
সময় গড়ানোর সাথে সাথে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন শহীদ আফ্রিদি। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান (৮) আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন। লঙ্কান ব্যাটসম্যান হাসরাঙ্গাকে (৮) সাকিবের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ২ রান করা ব্রেসনানেরও একই পরিণতি হয়।
আফ্রিদির তৃতীয় শিকার তিনি। শরীফকে (০) বোল্ড করে সিলেটের নবম উইকেটের পতন ঘটান নারাইন। শেষ পর্যন্ত আবুল হাসানের ৩০* আর তাইজুলের ১৬* রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০১ রান করল সিলেট।
সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিলেন শহীদ আফ্রিদি। এছাড়া নারাইন ৩টি আর আবু হায়দার রনি ২ উইকেট নিয়েছেন।