শরীয়তপুরে ২০ মণ জাটকা জব্দ, আটক ২
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তিলই বটতলা সড়কে অভিযান চালিয়ে ২০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
এ সময় দুই মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে পুলিশের একটি দল এ অভিযান চালায়।
আটকরা হলেন, ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের চরভয়রা গ্রামের মৃত জুলহাস খার ছেলে ওবায়দুর রহমান (৪০) ও গোসাইরহাট উপজেলার গরীবেরচর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মেহের আলী মীরের ছেলে মজিবুর রহমান (৪২)।
শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে
গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে এক গৃহবধূর ধারণকৃত ভিডিও দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। আবার সেটা গোপনে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন এক ছাত্রলীগ নেতা। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যেকের হাতে হাতে।
সেই ছাত্রলীগ নেতার নাম আরিফ হোসেন হাওলাদার (২২)। তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিজের এই কৌশল কাজে লাগিয়ে একে একে ছয় নারীকে ধর্ষণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘‘আরিফ এমন চরিত্রহীন, ভয়ংকর মানুষ, এটা আমাদের জানা ছিল না। তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওই এলাকায় যাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিই। আর আরিফ হোসেনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
স্থানীয়রা জানান, আরিফ স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। ২০১৫ সালের জুন মাসে তাকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
লোকলজ্জার ভয়ে এসব নারী এ ব্যাপারে কোনো মামলা করেননি। তাদের মধ্যে একজন প্রবাসীর স্ত্রী। তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আরেক গৃহবধূ গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। ঘটনার শিকার কলেজছাত্রীরা লোকলজ্জায় কলেজে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
এরকম ঘটনার শিকার এক কলেজছাত্রী বলেন, ‘‘আরিফ আমাকে শেষ করে দিয়েছে। এখন সমাজে কীভাবে মুখ দেখাব? মরে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই।’’
উপজেলা ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কারের পর আরিফ হোসেন এলাকা থেকে পালিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, তাও পরিবারের সদস্যরা বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘‘কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এ কাজ করতে পারেন না। আমি আরিফের বাবাকে নির্দেশ দিয়েছি তাকে হাজির করার জন্য। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের জানানো হয়েছে। তাকে পাওয়া গেলে সামাজিকভাবে বিচার করা হবে।’’
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদি হাসান বলেন, ‘‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ না পাওয়া গেলে কীভাবে ব্যবস্থা নেব?’’