রাজধানীর কাকরাইল মারকাজ মসজিদে মতবিরোধ ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে মসজিদের সভাকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মসজিদে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রমনা থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মতবিরোধের জের ধরে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তাবলিগ-জামাতের সাথী মো. শরফুল ইসলাম খান বলেন, গত তিন-চার বছর ধরে সূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিভিন্ন সময় তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি এই বিষয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। যা মীমাংসা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও হয়েছে।
কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাদের এই ঝামেলার কারণে দীর্ঘদিন মসজিদে মাসোয়ারা বৈঠক হতো না। অনেকদিন পর মঙ্গলবার মসজিদের সভা কক্ষে মাসোয়ারা মিটিং বসে। এ সময় ওয়াসিফুল ও জুবায়ের গ্রুপের সদস্যরা একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি হলেও পরে তা মারামারিতে পরিণত হয়। এসময় কওমী মাদ্রাসার কিছু লোক একটি গ্রুপের পক্ষ নিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। মাসোয়ারা কক্ষসহ মসজিদের ভেতরের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অানে। এই ঘটনায় ওয়াসিফুল ও জুবায়েরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।