ইহুদী ব্লগার রাব্বি বিন তিসইউন। বয়স ৩১। ইরান, জর্ডান আর লেবানন হয়ে গেলেন সৌদি আরব। প্রবেশ করলেন মসজিদে নববীতে।

বিন তিসইউন তার টুইটে মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তুলে টুইট করেন।

ক্রাউন প্রিন্স সৌদিকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও সকল দেশের সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মূক্ত করে দেয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে ব্লগার বিন তিসইউনকে মদিনায় আসতে দেয়া হল।

৬২৯ খ্রিস্টাব্দের সপ্তম হিজরিতে খায়বারের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইহুদিদের শক্তি খর্ব করা হয়। জিযিয়া বা কর প্রদানের শর্তে তাদের থাকতে দেয়া হয় খায়বারের নির্দিষ্ট একটি এলাকায়।

পরবর্তিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করায় হযরত ওমর (রাঃ) ইহুদিদের মদিনা থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করেন।

পরবর্তিতে ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, কোনো মুসলমান শাসক কোনো ইহুদিকে মসজিদে নববীতে দূরের কথা মদিনায় প্রবেশেরও সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ইহুদী ব্লগার রাব্বি বিন তিসইউনকে মদিনায় মাসজিদে নববীতে ঢোকার সুযোগ করে দিল।

বিন তিসইউন ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক লেখা লেখি করেছে। এবং উইকিপিডিয়ার বরাতে জানা যায় সে যিশুখ্রিস্ট তথা ঈসা আ. কে নিয়েও অনেক কাল্পনিক গল্প রচনা করেছেন।

খায়বারের যুদ্ধে ইহুদিদেরকে মদীনা থেকে বিতারিত করতে কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করে বলেন:- তিনিই কিতাবধারীদের (ইহুদীদের) মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারোনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ি-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল।

অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। (সুরা হাশর-২)

আল্লাহ যদি তাদের জন্যে নির্বাসন অবধারিত না করতেন, তবে তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি দিতেন। আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আযাব। (সুরা হাশর-৩)

এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে, তার জানা উচিত যে, আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (সুরা হাশর-৪)

আজ তাদেরকেই মসজিদে নববীতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে!

 


Comments