বাংলাদেশ থেকে ভারতে চোরাচালান হচ্ছে ২ টাকার নোট। ভারতের হেরোইনখোরদের কাছে ২ টাকার নোটের ব্যাপক চাহিদা বলে জানা গেছে। সীমান্তের ফাঁকফোকর দিয়ে এই নোট পাচারের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

ইতোমধ্যে নোট পাচারের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায়। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান ২টাকার নোট পাচার মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, বেশকিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২ টাকার নোট পাচার হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের হেরোইনখোরদের কাছে খুবই পছন্দ বাংলাদেশী ২ টাকার নোট। তারা পাচার হওয়া নোট ক্রয় করে ভারতীয় ৫ রূপীতে। ছোট এই কাগুজে নোটটি বেশ শক্ত।

নোটটি পেচিয়ে পাইপের মতো গোল করে হেরোইন ও ইয়াবা রাংতায় রেখে আগুনের তাপ দিয়ে নেশা করা হয়। নেশার ওই কাগুজে পাইপ অন্য কোন পাইপের চেয়ে অনেক ভালো।

ভারতের একজন হেরোইনখোর আশিশ কুমার জানান, ভালো নেশা হওয়ার জন্য বাংলাদেশী ২ টাকার নোটের কোন বিকল্প নেই। ওই ধরণের শক্ত ও কয়েকদফা ব্যবহার করলেও নোটের কাগজটি সাধারণত নরম হয় না। তাছাড়া ২ টাকার নোটের মতো কাগজ খোলা বাজারে কিনতেও পায় না নেশাখোররা। অন্য পাইপেও নেশা হয় ঠিকই কিন্তু এতো সুন্দর হয় না।

এ ব্যাপারে যশোর পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান (বিপিএম পিপিএম বার) দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২ টাকার নোট পাচার হয়ে যাচ্ছে। খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি এই কাগুজে নোট ব্যবহার করে নেশাখোররা।

সীমান্তবর্তী থানা ফাঁড়ি পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বেনাপোল পোর্ট থানা ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা করেছে ২ টাকার নোট পাচার ঘটনায়। যশোর পুলিশ সন্ত্রাস জঙ্গী মাদকমুক্ত করতে যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে বহুলাংশে সফলতা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রেও সফল হবো ইনশাআল্লাহ। ভারতে যাতে ২টাকার নোট পাচার হতে না পারে তার জন্য পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এসপি আনিসুর রহমান বলেন, কাগুজে নোট হোক কিংবা অন্য কোন পণ্য হোক চোরাচালানের ক্ষেত্রেও আমরা জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। কোন সন্ত্রাসী, জঙ্গী, মাদক ব্যবসায়ী, অপরাধী ও চোরাচালানী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে, একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শুধু যশোর নয় দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

 


Comments