নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের অভিযোগের কথা শুনলেও হাসেন অনেকেই। কিন্তু আসলে এটি হাসির ব্যাপার নয়। এটি বাস্তব এবং নিত্যদিনের ঘটনা।

নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে আইনের বাস্তবায়নের জন্য সেমিনার, আলোচনাসভা ও মানববন্ধন পর্যন্ত হচ্ছে। কিন্তু সামাজিকভাবে খুব একটা আমলে না নেয়ায় এর প্রতিকার মিলছে না।

পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠন বলছে- সমাজে অনেক পুরুষই বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন। কিন্তু দেখার কেউ নেই। এ ছাড়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিনও জানিয়েছেন এমন কথা।

পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন আলোচনায় উল্লেখ করেছেন- নারী কর্তৃক কীভাবে নির্যাতিত হন পুরুষরা। যুগান্তর পাঠকদের জন্য কিছু বিষয় উল্লেখ্ করা হল।

আসুন জেনে নিই কীভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন পুরুষরা।

যৌতুকের মামলা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সংসারে কোনো সমস্যা হলেও স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দেয়া। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সমস্যা যৌতুক নয় পরকীয়া।

পরকীয়া
অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী যদি পরকীয়ায় আসক্ত হয়, এ ক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অনেক সংসার ভেঙে যায়।

যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়া
এখনকার বেশিরভাগ নারী যৌথ পরিবারে থাকতে চান না। এ ছাড়া স্বামী, বাবা-মাকে দেখভাল করবেন, তাদের বাড়তি যত্ন নেবেন- এসব নানা বিষয় সংসারে ঝামেলা ও বোঝা মনে করেন।

পুরুষ নির্যাতন আইন
পুরুষ নির্যাতনে তেমন কোনো আইন না থাকায় এটি বাড়ছে। কারণ পুরুষ নির্যাতনের কোনো জবাবদিহিতা নেই।

প্রযুক্তির অপব্যবহার
পুরুষ নির্যাতনের অরেকটি বিষয় হচ্ছে- প্রযুক্তির অপব্যবহার। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অনেক নারী পুরুষকে ট্রাপে ফেলেন। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেন। এ ছাড়া অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

আইনের অপব্যবহার
অনেক ক্ষেত্রে নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার হয়ে থাকে। দেখা যায়, আইনের অপব্যবহারের ফলে অনেক নির্দোষ পুরুষ শাস্তি পান।

শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরকে মামলা
অনেক নারী আছেন যারা শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিকার না থাকায় পুরুষরা বিপদে পড়ে যান।

বৃদ্ধ পিতামাতাকে ত্যাগ
অনেক নারী আছেন যারা শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরের সঙ্গে থাকতে ঝামেলা মনে করেন। এ ক্ষেত্রে আলাদা থাকতে পছন্দ করেন। আর পুরুষরা বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে না পারার কষ্ট কাউকে বলতে পারেন না। সম্মানের কথা চিন্তা করে চুপ থাকেন।

 


Comments