পিঠ ও কোমর ব্যথা সম্পর্কে নতুন করে কোনও পরিচয় করানোর দরকার নেই। এই সময়ের অধিকাংশ মানুষকেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে এই সমস্যা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যাকে ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত ফিজিওথেরাপিস্ট স্যামি মার্গো তিনটি দৈনন্দিন কাজকে এই অসুখের জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী করেছ্বন। সেই সঙ্গে তিনি সমস্যা সমাধানের মুক্তির উপায়ও জানিয়েছেন।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নেওয়া যাক, স্যামির চিহ্নিত সেই বিষয়গুলিকে-
১।
দাঁত মাজায় দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষিত হয় বটে, কিন্তু আমাদের দাঁত ব্রাশ করার ভঙ্গিমা মেরুদণ্ডের ব্যাপক ক্ষতি করে। বিশেষ করে বেসিন বা সিঙ্কের ওপরে ঝুঁকে ব্রাশ করাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছেন স্যামি মার্গো।
তার মতে দাঁত মাজার সময়ে সোজা দাঁড়ানোই শ্রেয়। আর পালা করে দেহের ভর এক পা থেকে অন্য সরিয়ে নেওয়ার কাজটা প্রতি এক মিনিট অন্তর করে যেতে হবে।
২।
মোবাইল ফোন দেখার সময়েও কিন্তু শরীরী ভঙ্গিমাগত বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বেশি ঝুঁকে অনেকক্ষণ ধরে মোবাইল সার্ফ করা বা ট্যাব দেখা বিপজ্জনক।
এতে ঘাড়ের পেশিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে মেরুদণ্ডও। এমন ক্ষেত্রে ৩ ইঞ্চি ঝোঁকার অর্থ ঘাড়ের উপরে ৪২ পাউন্ড ভার চাপানো। সোজা হয়ে বসে মোবাইল দেখা অভ্যাস করতে বলেছেন স্যামি।
৩।
ঘুমের আগে বই পড়াকে আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে শুভ বলেই জানি। কিন্তু স্যামি জানাচ্ছেন, ভুল অ্যাঙ্গেলে বই ধরা বা ঘার বেঁকিয়ে পড়ার কারণে ঘাড় ও পিঠের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সঠিক পদ্ধতি ও ভঙ্গিমা অনুসরণ না করলে পরে এই অভ্যাস বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই জানাচ্ছেন স্যামি মার্গো।