১। এককথায় প্রকাশ করো :

আয় অনুসারে যিনি ব্যয় করেন, উপকার করার ইচ্ছা, ঘোড়ার ডাক, অবশ্যই যা ঘটবে, যা সহজে ভেঙে যায়।

 

২। নিচের প্রবাদ প্রবণগুলোর বাক্য প্রয়োগ করো :

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট, অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী, কেঁচো খুঁড়তে সাপ, ধরি মাছ না ছুঁই পানি, আদা জল খেয়ে লাগা

 

৩। ভাবসম্প্রসারণ লেখো :

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা

সব শিশুদের অন্তরে

 

৪। সঠিক উত্তর দাও :

ক) ‘বচন’ শব্দের অর্থ কী?

(i) গণনার ধারণা (ii) ক্রমের ধারণা (iii) সংখ্যা (iv) সংখ্যার ধারণা

খ) ‘সুন্দর সুন্দর ফুল’ বাক্যে কী অর্থে দ্বিত্ব হয়েছে?

(i) একবচন

(ii) শূন্য

(iii) বহুবচন

(iv) ঈষৎ

গ) ‘পর্বত’ শব্দের বহুবচন কোনটি?

(i) পর্বতগুচ্ছ (ii) পর্বতমালা (iii) পর্বতপুঞ্জ (iv) পর্বতগুলো

ঘ) শুধু অপ্রাণীবাচক বহুবচনের প্রত্যয় কোনটি?

(i) মণ্ডলী

(ii) কুল

(iii) সমাজ

(iv) মালা

ঙ) কোন বহুবচন বাচক প্রত্যয়টি শুধু উন্নত প্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়?

(i) কুল (ii) বৃন্দ (iii) দাম (iv) গুচ্ছ

উত্তর :

১। আয় অনুসারে যিনি ব্যয় করেন—মিতব্যয়ী

উপকার করার ইচ্ছা—উপচিকীর্ষা

ঘোড়ার ডাক—হ্রেষা

অবশ্যই যা ঘটবে—অবশ্যম্ভাবী

যা সহজে ভেঙে যায়—ভঙ্গুর

 

২। অতি লোভে তাঁতি নষ্ট—বর্তমান চাকরিতে সন্তুষ্ট না হয়ে অন্য চাকরি নিয়েছিলেন সগির সাহেব কিন্তু সে চাকরিও চলে গেছে, একেই বলে—অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।

অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী—লোকটি যত না শিখেছে তার চেয়ে বক বক করে বেশি। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী আর কাকে বলে।

কেঁচো খুঁড়তে সাপ—তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, এবার দেখা যাবে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসবে।

ধরি মাছ না ছুঁই পানি—তিনি কাজটি নিজে করতে চাচ্ছেন না, তাঁর বন্ধুদের দ্বারা করিয়ে নিজে বাহবা নিতে চাচ্ছেন। একেই বলে ধরি মাছ না ছুঁই পানি।

আদা জল খেয়ে লাগা—পরীক্ষায় ভালো করতে হলে আদা জল খেয়ে লাগতে হবে।

 

৩। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ এবং তাদের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভিত রচনা করবে। তাই তাদের জীবন গঠনে সচেষ্ট হতে হবে।

শিশুরাই হচ্ছে মানুষ তথা জাতির পিতা। শিশুরা সমাজ এবং জাতির ভবিষ্যৎ এবং দেশের স্বপ্ন ও আশা। সবারই এ প্রত্যাশা যে আজকের শিশুরাই একদিন আদর্শ নাগরিক হিসেবে বিকশিত হয়ে সমাজ ও দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং দেশ ও জাতির সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। আজ যারা পিতা, যারা কর্মী তারা কাল থাকবে না। তাদের অসমাপ্ত কাজ ভবিষ্যতে সমাপ্ত করবে শিশু সন্তানেরা। তাদের মাঝেই ভবিষ্যতের পিতৃহৃদয় লুকিয়ে আছে। তারা বড় হয়ে উপযুক্ত শিক্ষায়, জ্ঞানে ও কর্মে প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জন করবে। তাই শিশুর পরিচর্যা, তাদের মানসিক বিকাশ, জ্ঞানের বিস্তৃতি প্রদান করতে পারলে উপযুক্ত নাগরিক তৈরি সম্ভব। জাতি আত্মমুক্তি লাভে সক্ষম হবে, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ঘটবে।

আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কর্ণধার হবে। তাই একটি সুন্দর জীবন এবং একটি আদর্শ রাষ্ট্রের প্রত্যাশায় এ শিশুদের যথোপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।

 

৪। (ক) সংখ্যার ধারণা

(খ) বহুবচন (গ) পর্বতমালা

(ঘ) মালা

(ঙ) বৃন্দ

 


Comments