ঘটনা গরু পাচারের সে মামলায় সাজাও কেটেছেন ৩ বছর যশোরের আব্দুল কাদের। তবে ৩০ বছর পর হাইকোর্টের চিঠি মামলাটি এখনো নিষপত্তি হয়নি। নোটিশ পাওয়া মাত্রই আদালতে হাজিরের নির্দেশ তাই জীবনের প্রথমবার ঢাকায় এসেছেন আব্দুল কাদের।

তবে খোঁজ মেলেনি তার আইনজীবির। তাই অসহায় আব্দুল কাদেরর পাশে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর

৩০ বছর আগে গরু পাচারের দায়ে মামলার ঘানি এখনো টানতে হচ্ছে যশোরের শাহশ উপজেলার কৃষক আব্দুল কাদেরের। সে সময়ের যশোর হাই কমিশনের মামলা এখন বর্তমানে ঢাকা হাইকোর্টে। ১৯৮৬ সালের ঘটনা, অন্যের গরু বাজারে পৌঁছে দিতে বাধে বিপত্তি আটকে দেয় বিডিআর। গরু পাচার মামলায় সে সময় জেল হয় ৩ বছর।

যশোরের সে হাইকোর্ট এখন ইতিহাস হলেও এতো বছর পরে ঢাকা হাইকোর্ট থেকে গেল মাসে হাজির হবার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে আব্দুল কাদেরকে।

আর সে কারণে ৫৫ বছর বয়সের কৃষক ঢাকার মাটিতে প্রথমবারে মতো তিনি। সারা দিন খোঁজে পেলেন না নিজের আইনজীবিকে। অবশেষে দুপুরের পর কেউ একজন বলে দিলেন, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যালে এধরণের মামলায় সহায়তা দেয়া হয়।

মামলার বিষয়ে আব্দুল কাদের বলেন, এতো বছর পর মামলার নথিটি হাজির হওয়ায় তার পরিবার নিয়ে কিছুটা বিব্রত অবস্থায় আছেন। কারণ তার দুই মেয়েকেই বিয়ে দিয়েছেন, যদি তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যায় মামলার কারণে।

আব্দুল কাদেরের মামলায় লড়তে বিচারপরি এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টকে বিনামূল্যে দেয়া হবে আইনি সহায়তা।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সমন্বয়কারী রিপন পৌল স্কু বলেন, যশোরের কৃষক আব্দুল কাদের আর্থিকভাবে খুবই অসচ্ছল তাই সরকারি আইনি সেবায় সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে তার জন্য আইনজীবি নিয়োগ দেয়ে হয়েছে বলেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ আইজীবি খুরশীদ আলম খান বলেন, এই মামলায় আশ্চর্য হবার কিছুই নেই, তাকে আরো সচেতন হতে হবে। কারণ আইন খুবই অন্ধ বলেন তিনি।

এই ধরণের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনটি হলো যতক্ষণ বেইল না থাকবে ততক্ষণ আসামির অবস্থান থাকবে ফিজিলি।

মামলার যে দীর্ঘ সময় হয়েছে তার জন্য হাইকের্ট ডিভিশনের কাছে বণর্না দিয়ে নতুন করে আবেদন করা যাবে বলেন তিনি।

৩০ বছর আগের মামলায় আবারও কারাগারে যাবার ভয় পাচ্ছেন আব্দুল কাদের সে মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ বছর। তবে এরই মধ্যে মামলার অর্ধেক সাজা ভোগ করেছেন তিনি।

 


Comments