শীতকাল মানেই হাড়কাঁপানো শীত। সারা দেশে ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শীতকালীন কিছু খাবার দেহের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কিছু খাবারের জটিল শর্করা এবং বেশি পরিমাণের আঁশ খাবারগুলোকে ধীরে ধীরে হজম হতে সাহায্য করে। ফলে দেহের বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় এবং তা দেহের উষ্ণতা বাড়ায়। এ ছাড়া দেহের জরাজীর্ণ কোষের পুনর্গঠনে শীতকালের খাবার তালিকায় এসব উষ্ণতাদায়ক খাবার রাখাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

# মধু : একটি সত্যিকারের বিস্ময়কর খাবার হচ্ছে মধু, যা নিয়মিতভাবে শীতকালের খাবার তালিকায় থাকা উচিত। এটি চিনির বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায় এবং ঠাণ্ডা ও গলাব্যথায় কার্যকরি ঔষধ হিসেবেও কাজ করে। এটি শীতকালে শরীরকে উষ্ণ করার জন্য একটি উত্তম খাবার।

# আপেল: আপেলে রয়েছে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার। আপেলের সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার আমাদের দেহের উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম।

# শুকনো ফল এবং বাদাম : কাঠবাদামকে সাধারণত শুকনো ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে যা ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। শীতকালের খাবার তালিকায় এই খাবারটি থাকলে তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত ভালো কাজ করে কারণ এটি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

# গাজর : গাজর হচ্ছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গাজর ত্বককে সুস্থ রাখে, চোখ সুরক্ষিত রাখে, সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এটি একটি উষ্ণতাদায়ক খাবার এবং এটি কাঁচা বা রান্না যে কোনো ভাবেই খেতে পারেন।

# আলু : মিষ্টি আলু এবং আলু উভয়েই শীতকালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ সাহায্য করে। এটি শীতকালের অন্য অনেক দামি খাবারের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে।

এগুলো বিভিন্ন ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে এবং সারা বছরই এটি পাওয়া যায়। এটি শীতকালে দেহকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

# মেথিশাক : ভিটামিন কে, আয়রন এবং ফলিক এসিড সম্পন্ন সবুজ শাক হচ্ছে এই মেথিশাক। এটি রক্তের লোহিত কনিকার পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি দেহের তাপমাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে এবং শীতকালে দেহকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

# বেদানা : বেদানা হচ্ছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল এবং ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস। বেদানা জ্বর প্রতিরোধ করতে পারে এবং শীতকালে ঠাণ্ডা লাগা কমাতে পারে।

# মাংস ও ডিম : জ্বর বা ঠাণ্ডার সমস্যায় পথ্য হিসেবে মুরগির সুপের গুণাগুণের কথা আমরা সবাই জানি। তবে এটি এখন বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমাণিত। কারণ, মুরগি হচ্ছে দেহকে গরম করার খাবার এবং এটি জ্বর, ঠাণ্ডা সারাতে সাহায্য করে।

এছাড়া ডিম খেলে শরীর গরম হয় এবং এটি শীতকালে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তাই শীতকালের খাবার তালিকাতে এই দুটি খাবার অবশ্যই রাখা উচিত।

# আদা ও রসুন : ঠাণ্ডার সমস্যা এবং কাশি সারাতে আদা রসুনের মিশ্রণ খুবই ভালো কাজ করে, সেই সাথে শীতকালে দেহকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে। আদা দিয়ে তৈরি মশলা চা খেতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন খাবারে রসুন যোগ করে খেতে পারেন।

# স্যুপ: শরীর গরম রাখতে গরমাগরম স্যুপ খেতে পারেন।

 


Comments