'আলু! আলু! আলু! এখন মাত্র ২০০ টাকায় পাচ্ছেন ১০০ কেজির এক বস্তা আলু।' এভাবেই মাইকিং করে অভিনব কৌশলে আলু বিক্রি করা হচ্ছে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা এলাকায়।
বুধবার এভাবে আলু বিক্রির উদ্যোগ নেন কিছু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাইকিং করেও দেখা মিলছে না ক্রেতার।
এ অবস্থায় আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় কোল্ডস্টোরেজগুলোতে বস্তাপ্রতি ৩২০ টাকা করে ভাড়ার ভিত্তিতে আলু সংরক্ষণ করেছেন চাষি ও মজুদদার ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে আলুর বাজারে ব্যাপক ধস নামায় ক্রেতা সংকটে পড়েছেন তারা।
জেলার মোকামতলা এলাকার আলু চাষি আনিছুর বলেন, ৩২০ টাকা বস্তাপ্রতি ভাড়া ঠিক করে আলু স্টোরে রেখেছি। এখন আমরা আলু তুলে কী করব।
এক বস্তা আলুর দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। স্টোরে দিতে হবে ৩২০ টাকা, তাই আলু তুলছি না।
মোকামতলা আর অ্যান্ড আর পটেটো কোল্ডস্টোরেজের কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, এখনও স্টোরে প্রায় ৪৫ হাজার বস্তা আলু আছে। দাম না থাকায় আলু তুলছেন না কৃষকরা।
এদিকে আলু ব্যবসায়ীদের আলুর ওপর ঋণ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ও কৃষক বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকা করে ঋণ করেছেন।
এখন আলু রেখে চলে গেছেন তারা। তাই সব মিলিয়ে এ বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে বলেও তিনি দাবি করেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার জানান, গেল মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হয়েছে এ জেলায়।
উৎপাদনের তুলনায় বাজারজাতের অভাবে আলু নিয়ে কিছুটা সংকটে আছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।