শপিং মল গুলোতে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু সব বয়সী লোকেরই ভিড় লেগে থাকে।
কম বেশি সবাই আসেন নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে। অথবা কেউ আসেন ঘুরতে।
তবে শপিং মল গুলোতে তুলনামূলক পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা কি বেশি ?
বলা হয় পুরুষের চেয়ে নারীরাই নাকি শপিংয়ে বেশি আগ্রহী। এই ধারনা কতটুকু সত্যি?
আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম ঢাকার কয়েকটি জমজমাট মার্কেটের ক্রেতাদের কাছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুসরাত মনে করেন, "শপিং মেয়েরাই বেশি করে কারণ মেয়েদের পণ্যের ধরন অনেক আর পোশাকের সাথে আনুষঙ্গিক আরো অনেক কিছু কিনতে হয়। অন্যদিকে ছেলেদের শুধু শার্ট প্যান্ট জুতো ছাড়া কিছুই কেনার নেই।"
তিনি বলছেন, জামা কাপড় শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের রয়েছে গয়না, মেকআপ সামগ্রী, হাতব্যাগ, সুগন্ধি সহ আরো অনেক পণ্য।
সেই সাথে তিনি যোগ করেন, কেনাকাটা তার মন ভালো করে। তবে এর সাথে ভিন্ন মত পোষণ করেন নুজায়রা তারান্নুম।
তিনি প্রয়োজনের বাইরে শপিং করেন কম। তার কাছে মনে হয় শপিংয়ে মেয়েদের চাইতে ছেলেরাই বেশী আগ্রহী। তার মতে কেনাকাটায় ছেলেরাই বেশী খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে।
কিন্তু ছেলেরা কি এই কথাটি মানবেন? দেখা গেলো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সায়েমও মনে করেন ছেলেরাই বেশি ফ্যাশন সচেতন।
বসুন্ধরার শাহরিয়ার প্রিন্স আর সারা ইসলাম দম্পতি মন খারাপ থাকলেই শপিংয়ে বের হন।
কারণ মিজ ইসলাম এর কাছে মনে হয় শপিং মন ভালো করার থেরাপি হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলছেন, মেক আপ কিনলে তার মন ভালো হয়ে যায়।
সেইসাথে রঙিন কিছু দেখলেও তার ভালো লাগে।
আশিক মুহাম্মদ ও আয়শাতুল হুমায়রা এসেছিলেন তাদের বাগদান অনুষ্ঠানের কেনাকাটার জন্য। কে কার চেয়ে বেশি আগ্রহী?
আশিক মুহাম্মদ বলেন, "মেয়েরা প্রতি মৌসুমে পোশাক পরিবর্তন করেন কিন্তু ছেলেরা এমন নয়। তারা একটা যদি থাকে সেটা দিয়েই সারা বছর চালিয়ে দেয়।"
বাগদানের কেনাকাটার সময়েই এই জুটির শপিং নিয়ে খানিকটা খুনসুটি হয়ে গেলো কার কেনাকাটায় আগ্রহ বেশি সে নিয়ে।
প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনের কেনাকাটায় পয়সা খরচে কার হাত বড় সেনিয়ে এমন বিতর্ক নারী পুরুষের সম্ভবত রয়েই যাবে।