সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, শীতলপাটি বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ২০১৭ হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত।
আশা করা যায়, আজ এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এ স্বীকৃতি পেলে জামদানি, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রার মত পৃথিবীর কাছে সগৌরবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশের শীতলপাটি। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শীতলপাটির বয়নশৈলী যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের তা তুলে ধরবার জন্য শিল্পীরা রয়েছেন সেখানে।
ইউনেস্কো কোরিয়ার জেজু দ্বীপে চলছে ইউনেস্কোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বর্তমান সরকার শীতলপাটিকে বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এদিকে, স্বীকৃতি পাওয়ার আগে শীতলপাটি নিয়ে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী। জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন খান এবং লোকশিল্প গবেষক চন্দ্রশেখর সাহা । সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান ।
বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন এ শীতলপাটি। বুননশিল্পীরা বংশপরম্পরায় পাটি বুনন কৌশল আয়ত্ব করেছে, সিলেট অঞ্চলের পাটির ঐতিহ্য তাই শতবর্ষী।
প্রায় ১০০ গ্রামের চার হাজার পরিবার সরাসরি এই কারুশিল্পের সাথে জড়িত, পাটির বুননশিল্পীরা পাটিয়াল বা পাটিকর নামে পরিচিত।
প্রদর্শনীতে শীতলপাটির কারিগররা দেখাচ্ছেন কিভাবে এ পাটি বোনা হয়। তাছাড়া নানা ডিজাইনের শীতলপাটি প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। প্রদর্শনী চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।