স্ত্রী, পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে দেশ ছেড়ে সোজা ভারতে পাড়ি দিলেন এক বাংলাদেশি।
অবশেষে বিভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে ঠাঁই হল শ্রীঘরে।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার টিটাগড়ে। রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ের বুড়ি বাজারে সন্দেহ জনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এক ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করে টিটাগড় থানার পুলিশ।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রথমে নিজেকে শ্যামল মন্ডল বলে পরিচয় দেয়।
এরপর স্থানীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা জানতে চাইলে তা বলতে না পারায় সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে জেরায় ওই ব্যক্তি জানায় যে সে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তার নাম মোহাম্মদ খোকন (৪১)।
এরপরেই ভারতে প্রবেশের বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা না থাকায় তাকে গ্রেফতার করে।
খোকন জানায়, টিটাগড়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে এদিক ওদিক ঘুরছিলেন, সেসময়ই তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়াতেই তাকে আটক করা হয়।
এদিকে ওই ব্যক্তির আটকের খবরে জঙ্গি ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খোকনের বিরুদ্ধে ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর মহুকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
এদিন সকালে থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথেই সে জানায় রাগ করেই রবিবার সে দেশ ছেড়ে এখানে চলে আসে।
এদিকে, শুধুমাত্র পারিবারিক অশান্তি এড়াতেই ওই বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে এসেছিল, নাকি অন্য কোন উদ্যেশ্য ছিল সেই সত্যতা যাচাই করতে টিটাগড় থানার পুলিশ ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুইটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
একই সঙ্গে ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় কার সঙ্গে সে দেখা করেছিল কিনা তাও জানতে চায় পুলিশ।