জেরুজালেমকে রাজধানী করার বিষয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে চীন। দেশটি ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: হারেজৎ, আনাদুলু ও সাবাহ।
গত ৬ ডিসেম্বর এক বক্তৃতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং দেশটির দূতাবাস তেল আবিব থেকে সেখানে স্থানান্তর করার ঘোষণা দেন।
.
এরপর ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ শুরু হয়। গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তৃতীয় ইন্তিফাদার ঘোষণা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বহুদেশে তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদুগান ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) প্রধান হিসেবে ইস্তাম্বুলে জরুরি সম্মেলন আহ্বান করেন।
গতকাল বুধবার সেই সম্মেলন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে সম্মেলন থেকে মুসলিম বিশ্ব ছাড়াও অন্যান্য দেশকে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ওআইসির ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে সমালোচনা করে এই ঘোষণাকে ‘অবৈধ’ বলেও দাবি করেন তিনি।
তার মতই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওআইসির স্বীকৃতিতে প্রত্যাখ্যান করেন।
তবে ওআইসি থেকে এ ঘোষণা আসার পরই বৃহস্পতিবার চীন ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং জানান, জেরুজালেম ইস্যুতে তার দেশ মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগের বিষয়ে অবগত।
তিনি ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে উভয়পক্ষের প্রতি ‘ন্যায্য ও বোধগম্য’ সংলাপেরও আহ্বান জানান।