পবিত্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনি জনগণ।
তবে তাদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
তারা হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ছয় জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ থেকে ইসরাইলি হানাদার বাহিনী তিনশতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করেছে।
আটকদের মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোররাও রয়েছে। যাদের ছোট্ট খাঁচায় পশুর মতো আটকে রেখেও অত্যাচার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছদ্মবেশে মিলে গিয়ে তাদের আটক করছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী।
ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, এখন পর্যন্ত আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগকেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে অনেককে আটক করে নিয়ে যাওয়ার আগে গুলিও করা হয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলকৃত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এসব প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ইসরাইলি সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
ইসরাইলি এনজিও বি’তসেম আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কি আচরণ করে সে বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায় ইসরাইলি সেনারা বাব আজ-জাওয়া পয়েন্ট থেকে শিশু-কিশোর বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে আটক করে। তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় চালানো হয় নির্যাতন। পরে আবার তাদের একটি ছোট্ট খাঁচায় পশুর মতো আটকে রেখেও অত্যাচার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছদ্মবেশী ইসরাইল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রামাল্লাহ ও হেবরণ থেকেও অকে বিক্ষোভকারীকে আটক করেছেন। তাদের সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
এদিকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘আদামির’ অবিলম্বে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পাশাপাশি সংগঠনটি দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে আটক ব্যক্তিদের প্রতি আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী ব্যবহার করতে বলেছে।