জার্মানির এক ট্রাক ড্রাইভার মৃত্যুর আগে জমা করে রেখে যাওয়া কয়েন (মুদ্রা) গুণতে স্থানীয় এক ব্যাংকারের সময় লেগেছে ৬ মাস।

কয়েক দশক ধরে ওই বিপুল পরিমাণ কয়েন জমা করেন ওই ট্রাক ড্রাইভার।

এ খবর দিয়েছে ইনকুইরার। সব মিলে কয়েনগুলোর ওজন ২.৫ টন!

কয়েনের মোট সংখ্যা ১২ লাখ!

২০১৭ সালের অর্ধেক সময় ব্যয় করে ওইসব কয়েন গুনে শেষ করেন জার্মান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অলডেনবার্গ শাখার কর্মকর্তা উলফগাং কেমেরেইত।

স্থানীয় সম্প্রচার সংস্থা এনডিআরকে তিনি বলেন, ৬ মাস ধরে প্রাত্যহিক কাজের পাশাপাশি ওইসব কয়েন গোনার কাজ করেন তিনি।

তবে, এ কাজে তিনি বিরক্ত হন নি।

 

বাংলাদেশী ধাতব মুদ্রার ইতিহাস


১ পয়সাঃ

বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে সবচেয়ে কম মূল্য মানের এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকৃতির ধাতব মুদ্রা। ১ পয়সা সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। এর একপাশে " floral ornamental design" এবং অপর পাশে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।

৫ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত চারকোণা বিশিষ্ট ধাতব মুদ্রা। ১৯ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ১.৪ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "লাঙ্গল ও কারখানার চাকা" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ৫ পয়সার পূর্বের মুদ্রার আকৃতি ও ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়।


১০ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ১০ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত "8-Scallops" আকৃতি বিশিষ্ট ধাতব মুদ্রা। ২৩ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ১.৯৮ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "পান পাতা" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপিঠে " সবুজ বিপ্লব স্লোগান এবং সংশ্লিষ্ট লোগো" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ১৯৭৭ সালে পুনরায় ১০ পয়সার ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপাশে "৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার"-এর ছবি এবং পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।

এরপর ১৯৮১ সালে ব্যাস কমিয়ে ২২ মি.মি. এবং ওজন কমিয়ে ১.৩৯ গ্রাম করা হয়।

২৫ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ২৫ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ১৯ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ২.৭ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "রুইমাছ" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।

পরবর্তিতে ১৯৭৪ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপিঠে " মাছ,ডিম,কলা ও লাউ-এর ছবি" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ১৯৭৭ সালে "রয়েল বেঙ্গল টাইগার-এর ছবি" বিশিষ্ট ২৫ পয়সা ইস্যু হয়।

৫০ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৫০ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২২ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ৪.১ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "কবুতর" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।
[ছবিটি পাওয়া যায়নি, পেলে সংযুক্ত করা হবে]


পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরবর্তীত হয় যার একপিঠে " ইলিশ মাছ,মুরগী, কলা ও আনারস-এর ছবি" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ২০০১ সালে পুনরায় ভিতরকার ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে আকৃতি বৃত্তাকার থেকে গোলাকৃতির অষ্টভূজ করা হয়।

 

১ টাকাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে "নিকেল-কপার" দ্বারা তৈরী ১ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়েছিল। যার একপিঠে "পরিকল্পিত পরিবার.সবার জন্য খাদ্য -এই স্লোগান এবং ৪ সদস্যের পরিবার" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর পুনরায় ১ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২৫ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ৬ গ্রাম।

পরবর্তীতে এর ব্যাস কমিয়ে ২৪. ৫ মি.মি. এবং ওজন কমিয়ে ৪. ৩
গ্রাম করে যথাক্রমে সোনালী ও রূপালী রঙের দুটি মুদ্রা ইস্যু হয়।


২ টাকাঃ

২০০৪ সালে "স্টীল"-এর তৈরী ২ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। যার একপিঠে "সবার জন্য শিক্ষা -এই স্লোগান " এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।

৫ টাকাঃ

১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত ১২ কোণাবিশিষ্ট বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২৮মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ৭. ৮৭ গ্রাম। এর একপিঠে "যমুনা বহুমুখী সেতু " এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক"।

 


Comments