হতাহতের মধ্যে নয়জনই হিন্দু এবং একজন বৌদ্ধ বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- ঝণ্টু দাস, সুবির, টিটু, লিটন দাস, প্রদীপ তালুকদার, কৃষ্ণপদ, সুজিত দাস, জোনাকি, দুলাল ও আশিষ বড়ুয়া।

 

এ ছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক। এর মধ্যে ১০-১২ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান রীমা কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

বিশৃংখলা ও হুড়াহুড়ির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

 

শত শত মানুষ হুড়াহুড়ি করে একসঙ্গে প্রবেশ করতে যাওয়ার কারণেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের রীমা কমিউনিটি সেন্টারের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরে কমিউনিটি সেন্টারের গেট খুলে দেয়ার পর শত শত মানুষ হুড়াহুড়ি করে ঢুকতে চেষ্টা করেন।


রাস্তা থেকে কমিউনিটি সেন্টারের গেটটি ঢালু হওয়াতে সামনের দিকের লোকজন মাটিতে পড়ে যায়।

এ সময় পেছন দিক থেকে আসা লোকজন তাদের পদদলিত করে সামনে এগোনোর চেষ্টা করে।


ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অনুপ দাস নামে এক তরুণ।

তিনি বলেন, ফটকের বাইরে অনেক মানুষের ভিড় ছিল।

ঢোকার সময় পেছনের চাপে সামনে ওই ঢালু জায়গায় থাকা বেশ কয়েকজন পড়ে যান।

 

তখন তাদের ওপর দিয়েই পেছনের লোকজন হুড়মুড় করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ফলে অনেক মানুষ হতাহত হয়।


চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, অনেকে পড়ে গেছেন, মানুষের ভিড়ের কারণে অনেকে পদদলিত হয়েছেন।

তবে বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এটা মারামারি বা গ্রুপিং বা অন্য কোনো বিষয় না। নিরাপত্তার অভাব হয়নি, অতিরিক্ত মানুষের কারণে এবং ঢোকার সময় হুড়াহুড়ির কারণে অনেকে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়েছেন।


উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।


শুক্রবার দুই দফা জানাজা শেষে নগরীর চশমাহিল এলাকার কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। তার জানাজায় অংশ নেন লাখো মানুষ।

৭৪ বছর বয়সে মারা যান চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন চৌধুরী।

তিনি টানা ১৭ বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে পালন করেন সক্রিয় ভূমিকা।

 


Comments