আপনার কি কখনও কখনও চোখ থেকে পানি পড়া, লাল হয়ে যাওয়া এবং ভীষণ রকম চুলকানির মতো সমস্যাগুলি হয়? হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।
এমনটা হয় তো! এই সমস্যাগুলিই আমাদের জানান দিতে থাকে যে আমাদের চোখ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
শুধু তাই নয়, নয়ন যুগলের অসুস্থ হতেও যে আর দেরি নেই, তাও এই লক্ষণগুলি দেখেই প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় অনেকেই আমরা কিছুই করি না।
কিন্তু যেটা করা উচিত, তা হল কিছু ব্যায়াম, যা চোখের ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই ব্যায়ামগুলি...
১. হাতের তালু আর চোখ
খুব ব্যস্ত নাকি কম্পিউটারে। তাহলে বন্ধু একটু সময় বের করে কয়েক মিনিট হাতের তালুটা চোখের উপর রাখুন দেখি! তবে চোখের উপর চাপ দেবেন না যেন! এমনটা কয়েক মিনিট করে রাখলেই দেখবেন মন এবং চোখের স্ট্রেস কমতে থাকবে। সেই সঙ্গে চোখের ক্লান্তিও দূর হবে।
আর চাখের ক্লান্তি দূর হলে চোখের কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
২. কথায় কথায় চোখ পিটপিট করতে ভুলবেন না যেন!
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে কম্পিউটার, মোবাইল বা যে কোনও ডিজিটাল স্ক্রিনে কাজ করার সময় আমাদের চোখের পাতা একেবারেই পড়তে চায় না। ফলে চোখের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে।
সে কারণেই যারা দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারে কাজে করেন, তাদের কিছু সময় পরপর চোখ পিট পিট করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এমনটা করলে চোখের ক্লান্তি দূর তো হয়ই। সেই সঙ্গে চুলকানি এবং ড্রাই আইয়ের মতো সমস্যাও দূর হয়।
এখন প্রশ্ন হল কতবার চোখ পিট পিট করতে হবে? চিকিৎসকেরা বলে থাকেন কম করে ৫ সেকেন্ড যদি এমনটা করা যায় তাহলে চোখের উপকার পাওয়া যাবে।
৩. বলের মতো ঘোরাতে থাকুন চোখের মণি
আপনি কি চান বয়স বাড়লেও চোখ তরতাজা থাকুক? তাহলে বন্ধু দিনের মধ্যে কম করে ২ মিনিট খরচ তো করতেই হবে! আর এই দু মিনিটে করবেন কী? তেমন কিছু না! প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চোখের মণিকে ঘোরাতে হবে।
তবে পুরো ব্যায়ামটা খুব ধীরে ধীরে করবেন। এমনটা প্রতিদিন ২-৩ মিনিট করলেই দেখবেন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মনযোগও বৃদ্ধি পাবে।
৪. ঠান্ডা-গরম পানিতে সেক দিতে ভুলবেন না
একটা বাটিতে গরম পানি আর আরেকটা বাটিতে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে নিন। তারপর একটা তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে কিছু সময় চোখের ওপর রাখুন।
তারপর পানি দিয়ে একই ভাবে চোখে সেক দিন। এমনটা কয়েক মিনিট করলে সারা দিন ধরে কাজ করতে করতে চোখের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ঠিক হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কান্তি দূর হবে এবং দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটবে।
৫. ফোকাস শিফটিং এক্সারসাইজ
চোখের পেশির ক্ষমতা বাড়াতে এই ব্যায়ামটি দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে চোখের একেবারে সামনে যে বস্তুটি আছে তার দিকে তাকান। ৫ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার পর তার থেকে একটু দূরে রয়েছে এমন কিছুর দিকে এক দৃষ্টিতে পুনরায় ৫ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন।
এমনটা করতে থাকলে চোখের পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টিশক্তিও বাড়তে শুরু করে।