পহেলা জানুয়ারি সামাদ আলাবির জন্মদিন। এ দিন তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও ৩২ জন বন্ধু এবং আরো কয়েক হাজার আফগানেরও জন্মদিন।
প্রকৃত তারিখ জানা না থাকায় তারা পরবর্তী সময়ে জন্মদিন হিসেবে পহেলা জানুয়ারিকেই পছন্দ করেছে।
জন্ম সনদ অথবা অফিসিয়াল রেকর্ড না থাকায় বয়স নির্ণয়ের জন্য অনেক আফগান দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমি বা ঐতিহাসিক দিনগুলোকে তাদের জন্মদিন বানিয়েছে।
কিন্তু ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে এবং পাসপোর্ট ও ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আফগানদের জন্ম তারিখ লিখতে হয়। প্রকৃত জন্ম তারিখ জানা না থাকায় তারা নিজেদের পছন্দমত একটি দিন বেছে নেয়।
ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জন্মদিনের প্রয়োজন হয়। তাই এখন পহেলা জানুয়ারি আফগানদের গণ জন্মদিনে পরিণত হয়েছে।
সামাদ আলাবি (৪৩) বলেন, ‘পহেলা জানিয়ারি সব আফগানবাসীর জন্মদিন বলে মনে হচ্ছে।’
তারা সোলার হিজরি থেকে কোন তারিখকে তাদের জন্মদিন বানাতে চায় না। ইসলামিক বর্ষটি শুধু ইরান ও আফগানিস্তানে ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই তারা পহেলা জানুয়ারিকেই তাদের জন্মদিন হিসেবে পছন্দ করে।
আলাবি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, ‘যখন ২০১৪ সালে আমি প্রথম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলি। তখন আমার জন্মদিন হিসেবে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে পহেলা জানুয়ারি তারিখটি বাছাই করা খুবই সহজ ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওই সময় ইন্টারনেটের গতিও খুব মন্থর ছিল। তাই অন্য কোনো তারিখ খুঁজে বের করা কঠিন ছিল।’
ভুয়া বিজ্ঞাপনে প্রতারিত ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, তিনি একবার ভুয়া বিজ্ঞাপনে ফেঁসে গিয়েছিলেন বা প্রতারিত হয়েছিলেন।
শুক্রবার রাজ্যসভার অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের সাথে ভুয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনায় তিনি অকপটে এ কথা বলেন।
গতকাল রাজ্যসভায় ভুয়া বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সমাজবাদী পার্টির আইনপ্রণেতা নরেশ আগরওয়াল।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে। এসব বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়া দরকার। এ নিয়ে দাবিও তোলেন তিনি।
এ সময় ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, তিনিও একবার এই ভুয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্যাবলেট খেয়ে ওজন কমানোর বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। এক হাজার টাকা দিলে সেই ট্যাবলেট ঘরে চলে আসবে।
আমি তার জন্য টাকাও দিই। কিন্তু এরপর একটি ই- মেইল আসে। সেখানে বলা হয়, আসল ওষুধ পাওয়ার জন্য আরো এক হাজার টাকা দিতে হবে। এ সময় আমার সন্দেহ জাগে। সাথে সাথে বিষয়টি ক্রেতা সুরা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। তদন্ত করে দেখা যায়, যে সংস্থা বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের।’
এরপর তিনি ভুয়া বিজ্ঞাপন আটকাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন। ভারত সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান এসব দাবির মুখে জানান, ভুয়া বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইন্ডিয়া টুডে