চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের প্রভাষক কিরীটি দত্ত। প্রতিদিনের মতো একই পথ দিয়ে কলেজে যাচ্ছিল। জামাল খান থেকে রিক্সায় উঠে ডিসি হিলের সামনে পর্যন্ত যায়। সেখানেই ঘটে গেলো ছিনতাই।
‘স্যার’ সম্বোধন করে রিক্সা থামিয়ে দেয়। এরপর ছুরি ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েই কেড়ে নিল দুইটি স্মার্টফোন, ৭ হাজার ১০০ টাকা, স্বর্ণের আংটি ও একটি ঘড়ি। আজ সকাল ৯টার দিকেই এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়েছেন ছিনতাইয়ের শিকার প্রভাষক কিরীটি দত্ত।
চট্টগ্রামের কয়েকটি স্পটে এসব ছিনতাই করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তবে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় প্রথমে ডিজি করা হলেও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান কোতোয়ালী থানা ডিউটি অফিসার সুপ্তা দত্ত। তবে এ ঘটনায় ছিনতাই করা জিনিসপত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া রসায়ন বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক কিরীটি দত্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রিক্সা নিয়ে ডিসি হিলের মূল ফটকের সামনে আসলে এক যুবক আমাকে সালাম দেয়। তখন বলল, ‘স্যার আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি নেজাম।’
তখন বললাম, ঠিক চিনতে পারিনি। আমার এখন ক্লাস আছে। পড়ে কথা হবে তোমার সঙ্গে।’ কথা বলতে বলতে সে রিকশা থামিয়ে ফেলল।
তারপর বলল, ‘আমার ভাই গুরুতর অসুস্থ। রক্ত দরকার। এ মুহূর্তে আপনাকে দুই হাজার টাকা দরকার।’ আমি ফাঁদে পড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বললাম, ‘এখন আমার এত টাকা নেই।’
এ সময় আমার রিকশার সামনে অপর দুই যুবক রিক্সা নিয়ে হাজির। এসেই বললো কেউ বুঝে উঠার আগেই যা যা আছে দিয়ে দেন। এরপর পকেটে হাত ঢুকিয়ে দুইটি স্মার্ট ফোন সেট, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মান পরীক্ষা কমিটির ৭ হাজার ১০০ টাকা, ঘড়ি ও আংটি খুলে নিল।
ডিসি হিলের পাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম মামুন বলেন, প্রায় সময় এখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
নিরিবিলি জায়গা হওয়াতে ছিনতাইকারিরা সংঘবদ্ধভাবে কৌশলে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ তৎপর হলেই এসব ঘটনা কমে আসবে বলে জানান।