জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোফসেনা ত্বাকিয়া নামের এক শিক্ষার্থী ২০১৬-১৭ সালে ভর্তি না হয়েও এক বছর ক্লাস করেছে। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নলিতা বাড়ি।
ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ভেবে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। পরে জানা যায় আসলে ওই শিক্ষার্থী জাবিতে ভর্তি হননি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থী ২০হাজার টাকার বিনিময়ে অপর এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ভর্তি হয় বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
ত্বাকিয়ার দেওয়া তথ্য মতে, সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সি ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অপেক্ষামান ছিল। সে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে (২২৩৮) ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিত।
প্রক্টর অফিসে স্বীকারোক্তিতে ত্বাকিয়া বলেন, ‘‘আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নই। কিন্তু আমি ভর্তি জালিয়াতির স্বীকার। আমি আমার অপরাধ স্বীকার করে নিচ্ছি।
সাহেদ ইসলাম ওরফে আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভর্তি করিয়ে দেয়।’’
এদিকে এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২তম আবর্তনের ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ত্বাকিয়া তার পরিচিত বলে স্বীকার করলেও কোন টাকার লেনদেন করেনি বলে জানান।
এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘ক্লাসে ত্বাকিয়ার কোন সঠিক রোল নম্বর ছিল না। কিন্তু সে অনুশীলনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
সর্বশেষ ১ম বর্ষের ফরম পূরণ করতে গেলে তার জালিয়াতির বিষয়ে আমাদের সন্দেহ হয় এবং প্রক্টর অফিসকে অবহিত করি’।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, “বিভাগীয় সভাপতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করে জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছি। ত্বাকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।
সুতরাং সে আমাদের ছাত্রী নয়। এজন্য তাকে শাস্তি না দিয়ে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।