নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার আইনজীবীদের প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাম পায়ের জুতা হারিয়ে গেছে।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ জালাল।

পরে ডান পায়ের এক জুতা পরা অবস্থায়ই তৈমূর আলমকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বিষয়টি তখন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিনের নজরে এলে তৈমূর আলমকে ৬০০ টাকা দিয়ে এক জোড়া বাটার স্যান্ডেল কিনে দেয়া হয়।

এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বাইরে পশ্চিম পাশে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় পুলিশ তৈমূর আলমকে গ্রেফতার করে।

ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ২০১৫ সালে করা সদর থানার একটি মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনমারি এলাকা থেকে তৈমূর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন এসে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি করে।

এতে আমি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ তিনজন কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।

ওসি আরো জানান, গ্রেফতারের সময় তৈমূর আলমের পায়ের একটি জুতা হারিয়ে যায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাটার এক জোড়া স্যান্ডেল কিনে দেয়া হয়েছে।

 


Comments