![](http://www.studyandjobs24.net/assets/records/news/201801/2686_162.jpg)
শত্রুদের হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান বলেছেন, যারা আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।
আর যে সাহায্য চাইবে তার সঙ্গে প্রয়োজনে রুটি (খাবার) ভাগ করে খাব। কিন্তু যার তুরস্কের ক্ষতি করতে চাইবে তাদের ক্ষমা করা হবে না।
শনিবার দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলে কাশিমপাশা-হাস্কয় নামক একটি টানেল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।
এজন্য যারা তুরস্কের ভবিষ্যৎ শত্রু আমরা তাদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্ষমতা প্রদর্শন করব না।
উল্লেখ্য, তুরস্ক সিরিয়ার আফরিন এলাকায় পিকেকে ও দাশেয়ের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহ থেকে সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
পিকেকে ও দায়েশকে তুরস্ক তাদের শত্রু মনে করে। আফরিন ও আজাজ অঞ্চলে অভিযান শেষ হওয়ার পর তুর্কি বাহিনী মানজিব প্রদেশেও অভিযান চালাবে বলে জানান এরদোয়ান।
'যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে'
সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু।
শনিবার তিনি দেশটির আনতালায়া শহরে এক মিটিংয়ের আগে গণমাধ্যমকে বলেন, আঙ্কারা দেখতে চায় যে, ওয়াশিংটন সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকে ও দায়েশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। খবর আনাদলু এজেন্সির।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত দেখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রকে ওইসব সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের যেসব অস্ত্র দিয়েছে তা ফেরত নিতে হবে।
এদিকে তুরস্ক কর্তৃক সিরিয়ায় অব্যাহত অভিযানের মধ্যে সিরিয়ান কুর্দি গেরিলা সংগঠন ওয়াইপিজিকে এখন থেকে আর কোনো ধরনের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবে না যুক্তরাষ্ট্র- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ দাবি করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টারের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
এ সময় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আঙ্কারাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, নতুন করে সিরিয়ান কুর্দিদের কোনো অস্ত্র দেয়া হবে না।
তবে ওয়াশিংটনের নতুন অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পেন্টাগনের মুখপাত্র ডানা হোয়াইট বলেছেন, আমি এ সংক্রান্ত মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি, কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানি না।
তবে তিনি জানান, আফরিন পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পেন্টাগন।