প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের খামারবাড়ি থেকে লুট হওয়া গরুর মধ্য থেকে চারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের একটি খামার থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ ও লালমনিরহাট পুলিশ।
এ সময় লুট হওয়া গরু কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে থাকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের খামারবাড়ির পাহারাদারকে বেঁধে রেখে ১০টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছিল।
পুলিশ জানায়, গরু লুটের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বগুড়ার জনৈক এক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যমতে গত সোমবার রাতে প্রথমে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকা থেকে ওসমান গণি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ওসমান গনি উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আমিজোন নেছার স্বামী। তিনি গরু কেনাবেচার ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।
পরে ওসমানের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম গাটিয়ারভিটার খামারি হাসান আলীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার খামার থেকে মন্ত্রীর লুট হওয়া চারটি গরুও উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদেরসহ গরুগুলো দিনাজপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেল যুগান্তরকে বলেন, ‘ওসমান গনি গরু ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে বগুড়ার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সে গরু কিনেছিল। কিন্তু ওই গরু যে মন্ত্রীর গরু তা তাকে গ্রেফতারের পর জানা গেছে।’
এদিকে মন্ত্রীর লুট হওয়া ওই গরু উদ্ধার অভিযানে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফুলবাড়ি সার্কেল) রফিকুল ইসলামসহ ডিবির একটি দল এবং পাটগ্রাম থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ অংশ নেন বলে জানা গেছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত ওসমানের মাধ্যমে চার লাখ ৬৫ হাজার টাকা দাম ঠিক করে গত বৃহস্পতিবার গরু চারটি কিনে নেয় পাটগ্রামের হাসান আলী।
এজন্য অগ্রিম হিসেবে সে ওসমানকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। কাগজপত্র প্রদান সাপেক্ষে বাকি টাকা পরিশোধের কথা ছিল বলে জানান ওসি।