চলতি বছর থেকে প্রাথমিকে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত বছর প্রাথমিকে ৮০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ছিল। এবার সেখান থেকে বাড়িয়ে শতভাগ করা হলো।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) ২০১৮ এর প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়। নেপ-এর ওয়েবসাইটে বিস্তারিত নম্বর বিভাজন প্রকাশ করা হয়েছে।


আদেশে বলা হয়, প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন থেকে প্রতি বিষয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন হবে।


তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে পিইসি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ছিল। এরপর ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৬৫ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়।


পিইসি পরীক্ষার শুরুতে দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন বেড়ে যাওয়ায় এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উত্তর শেষ করতে সমস্যায় পড়ে। এরপর ২০১৩ সাল থেকে সময় বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়। এবার যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন শতভাগ করা হলেও সময় আড়াই ঘণ্টাই থাকছে।


চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১৭ সালের এইচএসসিতে ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়। আর গত বছরের জেএসসিতেও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।

 


Comments