রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাইকিং করে এনেও প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ফরম দেয়নি নবম শ্রেণির ছাত্রী নূসরাত জাহান স্বর্ণাকে। বরং মায়ের অপরাধের জের ধরে তাকে করা হয়েছে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। ফরম না দিয়েই বের করে দেয়া হয় স্কুল থেকে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে স্বর্ণা জানায়, সোমবার রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান স্যার আমাকে দেখিয়ে হেড স্যারকে বলেন, এই যে পত্রিকার মেয়েটা, যার ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। ওকে পুলিশও ধরে নিয়ে গিয়েছিলো।
একথা শোনার পর হেড স্যার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- এই মেয়ে স্কুলে আসছে কেনো, ওকে বলো স্কুল থেকে চলে যেতে।
স্বর্ণা বলে, এরপর আমি স্যারের কাছে জানতে চাই কবে স্কুলে আসবো। জবাবে স্যার বলে তোর আর স্কুলে আসা লাগবে না। রেজিস্ট্রেশনের বিষয় জানতে চাইলে স্যার বলে তোর রেজিস্ট্রেশন করাও লাগবে না।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. এনামূল হক সরকার জানান, ওই ছাত্রী বিলম্বে আসার কারণে শাসন করেছি। সে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তা একজন সহকারী শিক্ষককে থানায় পাঠিয়ে নিশ্চিত করে ছাড়িয়েও এনেছি। বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ দিকে মায়ের অপরাধকে কেন্দ্র করে মেয়ের সঙ্গে শিক্ষকদের এমন আচারণকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।
এলাকাবাসী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে মেয়ে বাড়িতে শুধু কান্নাকাটি করছে। লেখাপড়াও করছে না। তার মা নাছিমা আক্তার এক গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
ওই ঘটনার সময় পুলিশ এ স্বর্ণাকেও আটক করেছিলো। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।