ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কে অংশ নিতে এসেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তাদের বিতর্ক দলে এমন এক ছাত্র অংশ নিচ্ছেন, যার বিরুদ্ধে শিক্ষককে চড় মারার অভিযোগ রয়েছে।
ওই ছাত্রের নাম গৌরব দত্ত মুস্তাফি। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ-টিএমসিপির নেতা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ভাস্কর দাসকে চড় মারেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত বিতর্কসভায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, গৌরব দত্ত ‘এমন মার মারব না’ বলে শিক্ষক ভাস্কর দাসকে হুমকি দেন। এর পর বেশ কয়েকটা চড়ও মারেন।
এ অভিযোগের পর গৌরবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাকে শোকজ করে।
এর পরও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে গৌরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করেন। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
ঢাকার বিতর্ক অনুষ্ঠানের খবর প্রকাশের পরই তারা এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গৌরবকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিলেও সেই নোটিশ তাকে এখনও পাঠানো হয়নি।
কারণ শোকজের বিষয়টি সিন্ডিকেটের আগামী বৈঠকে পাস হওয়ার পর গৌরবকে পাঠানো হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শোকজের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি জানি, তবে তারপর কী হয়েছে সেটি জানি না।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তীও বলেন, ওই ছাত্র কোথায় গেছে, কেন গেছে; সে বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আমরা তার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
ফোন ও বার্তা পাঠিয়েও গৌরবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আরও ছিলেন আইন বিভাগের ছাত্র ও টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রান্তিক চক্রবর্তী, কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র ও টিএমসিপি নেতা দীপ পোদ্দার।
প্রান্তিক বলেন, ছাত্র সংসদের সভাপতি রুমানা আখতার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে এই বিতর্কসভায় যাওয়ার জন্য আমাকে বেশ কয়েক দিন আগে বললে আমি রাজি হয়ে যাই।
তবে এ বিষয়ে রুমানাকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। আর বার্তা পাঠালেও এর জবাব দেননি।