শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ পুলিশের বাধায় তার প্রতিষ্ঠিত সখিপুর হাবিব উল্যাহ কলেজের ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে যেতে পারেননি।

এ ঘটনার পর সখিপুর থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সখিপুর থানা যুবদলের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ মাসুম বালা জানান, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান কিরণ প্রতিষ্ঠিত জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সখিপুর হাবিব উল্যাহ কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার কলেজ মাঠে এক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে।

মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, হাজী শরীয়তুল্লাহর উত্তরসূরি পীরজাদা মাওলানা মুবিন উদ্দিন আহমদ নওশীন মিয়া এবং সভাপতি ছিলেন বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা রাজি উদ্দিন আহমাদ (বিন ইয়ামিন)।

সোমবার বিকেলে শফিকুর রহমান কিরন ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করলে সখিপুর থানার ওসি এবং শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন টেলিফোনের মাধ্যমে তাকে ওয়াজ মাহফিলে যেতে নিষেধ করেন।

এরপর শফিকুর রহমান কিরণ নেতাকর্মীদের নিয়ে সখিপুর থানায় গিয়ে মাহফিলে যাওয়ার অনুমতি চান। অনুমতি না পেয়ে মাগরিবের নামাজের পর তিনি সখিপুর বাজারের থানা সড়কে নেতাকর্মীদের নিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে সখিপুর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজহারুল ইসলাম সরদার, আজমল হক নান্টু মালত, মানিক হাওলাদার, সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আসান মোল্যাসহ ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতেও আমরা পুলিশের বাধার সম্মুখিন হচ্ছি।

আমার পিতার নামে আমার প্রতিষ্ঠিত কলেজের ওয়াজ মাহফিলে আমি যেতে পারিনি। আমাকে পুলিশ বলে ওপরের নির্দেশ আছে, আপনি ওয়াজ মাহফিলে যেতে পারবেন না।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, শফিকুর রহমান কিরণকে ওয়াজ মাহফিলে যেতে নিষেধ করা হয়নি। তাকে বলা হয়েছে আপনি গেলে যদি এলাকায় বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে আপনি ওয়াজ মাহফিলে যাবেন না। এর বেশি কিছু বলা হয়নি।

 


Comments