অবিশ্বাস্য হলেও খবরটা সত্যি যে, একটি হোটেলে পেটভরে খাওয়ার পর কোনো টাকা না দিলেও চলবে। সম্প্রতি ভারতের কেরালা রাজ্যের আলপ্পুঝা জেলাতে এমনই এক রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে। যেখানে আপনি পেট ভরে খান, আর তার দামও দিন আপনার ইচ্ছেমতো। আর যদি পকেটে টাকা না থাকে সেক্ষেত্রে দিতে হবে না এক পয়সাও।
ভারতের ‘দ্য হিন্দু’পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই হোটেলের নাম ‘জনকীয় ভক্ষণশালা’। জেলার সিপিএম পরিচালিত ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট’-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার মানুষকে ভরপেট খাওয়ানোই লক্ষ্য এই রোস্তেরাঁর।
এমনটাই জানিয়েছেন ‘জীবনথালম’ (প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট)-এর আহ্বায়ক আর রিয়াস। কেরালার স্টেট ফিনান্সিয়াল এন্টারপ্রাইজের সিএসআর ফান্ডের সহায়তায় এই হোটেলটি দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষের মুখে সুলভে বা প্রয়োজনে বিনামূল্যেই দুমুঠো খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা গেছে, ১১.২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এই হোটেলটি তৈরি করতে।‘জনকীয় ভক্ষণশালা’ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাকেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তাই শনিবার এই হোটেলের উদ্বোধনে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের পানিসম্পদমন্ত্রী ম্যাথু টি থমাস। হোটেলের শুরুর দিন নিজের হাতেই খাবার পরিবেশন করেন অর্থমন্ত্রী।
এ বিষয়ে থমাস আইজ্যাক জানিয়েছেন, এই হোটেলে কোনও ক্যাশ কাউন্টার নেই। নেই কোনও ক্যাশিয়ারও। পরিবর্তে দরজার সামনে একটি বাক্স রাখা আছে।
যেখানে পেটপুরে খেয়ে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে খাবারের মূল্য হিসেবে আপনার ইচ্ছেমতো টাকা দিয়ে চলে যেতে পারেন।
থমাস আইজ্যাক আরও জানান, কারও যদি খাবারের দাম দেওয়ার টাকা না থাকে, সে ক্ষেত্রে তার টাকা না দিলেও চলবে। খিদে পেলে চলে আসুন এখানে।
জানা গেছে, সরকারি তহবিলের সহায়তা ছাড়াও আলপ্পুঝার অনেক স্থানীয় বাসিন্দা আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আলপ্পুঝা-চেরথানা ন্যাশনাল হাইওয়ের কাছে এই হোটেলের একটি আধুনিক স্টিম কিচেন রয়েছে। যেখানে অনায়াসে ২০০০ জনের খাবার তৈরি করা যায়।