হোক না সৎ, তবুও তো মা। তাই জোর করে বাপের বাড়িতে রাখতে চাওয়ায় কোনও সন্দেহ হয়নি ২২ বছরের তরুণীর। কিন্তু তার পরের ঘটনা মনে করলে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি।
এক যুবককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগে সোমবার রাতে তরুণীর সৎমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে। ভারতের নিমতার বিশরপাড়ার ঘটনা এটি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে। এ ঘটনায় হতবাক তরুণীর বাবা।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, ধর্ষণের বিনিময়ে ওই যুবকের কাছ থেকে সে টাকা নেয় ওই তরুণীর সৎমা।
বিশরপাড়ার নবনগর সাহাপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকেন অভিযুক্ত ওই মহিলা। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ওই ব্যক্তি তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর প্রথম পক্ষের মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকত সৎমায়ের।
তরুণীর বাবা জানান, তার প্রথম পক্ষের মেয়েকে দেখতে পারত না সৎমা। বছরখানেক আগে মেয়ের বিয়ে দেন বাবা। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গেলে ঝামেলা করত সৎমা। ফলে মেয়ে বাপের বাড়ি আসতেন না। এলেও রাতে ফিরে যেতেন।
ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে সৎমা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাকে বাপের বাড়িতে আনতে চায়। রাজি হননি তিনি। কিন্তু সৎমা তাকে মিষ্টি কথায় রাজি করান। বাপের বাড়ি এলেও রাতে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চান তরুণী।
কিন্তু আটকে দিয়ে সৎমা বলে, ‘রাতটা থেকে যা। বাবা বাড়ি ফিরলে দেখা হবে।’ সে কথায় বিশ্বাস করে রাতে বাড়িতেই থেকে যান তিনি।
ওই তরুণী জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এক যুবককে তার ঘরে ঢুকিয়ে দেন সৎমা। ভয় পেয়ে তিনি ঘর থেকে বেরোতে যান। কিন্তু ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ঘরে একা পেয়ে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে।
পরে ওই যুবক এবং সৎমা তাকে হুমকি দেয়, এই বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তার স্বামীকে খুন করে ফেলা হবে। পরের দিনও তাকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে দেওয়া হয়নি।
ঘটনার দুদিন পরে বাড়ি ফিরে স্বামীকে সব জানান ওই তরুণী। সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নিমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সৎমাকে।
তরুণীর বাবা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি অনেক রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরি। মেয়েকে মনমরা দেখে মনে হয়েছিল ফের মায়ের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। ভাবতেই পারছি না, কোনও মা এমন কাজ করতে পারে!