জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ৪১ তম ব্যাচের স্নাতকোত্তরে অনৈতিক উপায়ে এক ছাত্রীকে প্রথম বানানোর ঘটনার বিচার ও খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

তাদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি রোববার উপাচার্য হাতে পেয়েছেন।

আবেদনে এ সকল ঘটনার পেছনে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. নুরুল আমিনকে প্রধান দায়ী করা হয়। তবে ওই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী এ সকল ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন বিভাগের প্রভাবশালী শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে।


অভিযুক্ত এক ছাত্রী প্রথম হওয়ার পেছনে ড. ছায়েদুর রহমান বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এমনকি স্নাতক পর্যায়ে রেজাল্ট কম থাকলেও তার থিসিস পাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।

সূত্র জানায়, পিএ ৫০১ নং কোর্স শিক্ষক ছিলেন ড. ছায়েদুর। ওই কোর্সে শুধুমাত্র ওই ছাত্রীই ‘এ প্লাস’ পেয়েছে। বাকিদের রেজাল্ট অনেক কম। এমনকি যে চারজন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় প্রথমের দিকে তাদের সবাইকে ‘এ মাইনাস’ দিয়েছেন তিনি। বিভাগে থিসিস পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৬৫ শর্ত ছিল।

ড. ছায়েদুর বিভাগের সভাপতি থাকাকালীন সময় ৩৯ ও ৪০ তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীই স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৬০ এর উপরে পেয়েছিলেন।

কিন্তু অধ্যাপক ছায়েদুর তাদের থিসিস দেননি। সে সময় তারা অনেক অনুরোধ করলেও শর্ত কমানো হয়নি।

কিন্তু ওই ছাত্রীকে স্নাতকে ৩.৫১ পাওয়ায় তাকে থিসিস দিতে সহযোগী অধ্যাপক ছায়েদুর শর্ত কমিয়ে সিজিপিএ সর্বনিম্ন ৩.৫০ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 


Comments