![](http://www.studyandjobs24.net/assets/records/news/201803/2864_157.jpg)
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। ২১ বছর বয়সী দুরারোগ্য শারীরিক ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে হুইলচেয়ার বন্দী হন। তবে দমে যান নি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি কাজ করে গেছেন। তার গবেষণার কল্যাণে মানবজাতি জানতে পেরেছে মহাবিশ্ব স¤পর্কে নানান অজানা তথ্য।
পৃথিবী নন্দিত ৭৬ বছর বয়সী এই পদার্থবিদ আজ মৃত্যুবরণ করেছেন।
চলে গেছেন পরপারের অনন্ত যাত্রায়। তার কিছু স্মরণীয় উক্তি নিচে তুলে ধরা হল-
পৃথিবী সৃষ্টির কারন প্রসঙ্গেঃ
যদি আমরা কখনো পৃথিবী সৃষ্টির কারন জেনে যাই, তা হবে মানবসভ্যতার চূড়ান্ত বিজয়।
মানবতা প্রসঙ্গেঃ
আমরা সৌরজগতের একটি সাধারণ গ্রহের উন্নত প্রজাতির বানর মাত্র। কিন্তু আমরা সৌরজগতকে বুঝতে পারি। এটাই আমাদেরকে বিশেষত্ব দিয়েছে।
ব্ল্যাক হোল প্রসঙ্গে
আইনস্টাইন যখন বলেছিলেন- ঈশ্বর পাশা খেলেন না। তিনি ভুল বলেছিলেন। ব্ল্যাক হোল স¤পর্কে ভাল করে ভাবলে বলতেই হবে, ঈশ্বর শুধু পাশা খেলেন-ই না; তিনি পাশার দান মাঝে মাঝে এমন স্থানে ছুড়ে মারেন যে, আমরা তা দেখতে না পেয়ে বিভ্রান্ত হই।
জীবন প্রসঙ্গেঃ
প্রথমত, দৃষ্টি রেখো তারার পানে, পায়ের দিকের মাটিতে নয়। দ্বিতীয়ত, কখনো কাজ করা বাদ দিও না। কাজ জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। কর্মহীন জীবন অর্থহীন।
তৃতীয়ত, যদি ভালবাসা খুঁজে পাবার মতো যথেষ্ট ভাগ্যবান হও, তবে তার মূল্যায়ন করো। অযত্নে ছুড়ে মেরো না কখনো।
খ্যাতি প্রসঙ্গেঃ
আমার খ্যাতির সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা হচ্ছে মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে আমি কোথাও যেতে পারি না। শুধু কালো চশমা আর টুপী পরে আমি নিজেকে লুকোতে পারি না। আমার হুইলচেয়ারের কারণে সবখানে ধরা পড়ে যাই।
বিকলাঙ্গ জীবন প্রসঙ্গেঃ
সমস্ত বিকলাঙ্গ মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ, যে সব কাজের ফলাফলে আপনার বিকলাঙ্গতা কোন প্রভাব ফেলে না, এমন কাজ করুন। আর যেগুলো প্রভাব ফেলে, তা এড়িয়ে যান। মানসিকতায় কখনো বিকলাঙ্গ হবেন না।
ত্রুটিপূর্ণ পৃথিবী প্রসঙ্গেঃ
পৃথিবীতে ত্রুটি বিচ্যুতি না থাকলে, আপনি আমি সৃষ্টি হতাম না।
আনন্দিত থাকা প্রসঙ্গেঃ
জীবনে যদি ফুর্তি না থাকতো, তা হতো ভয়ংকর এক জীবন।
মানুষের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণীর যোগাযোগ প্রসঙ্গেঃ আমি মনে করি এর ফল হবে ভয়াবহ। মহাজাগতিক প্রাণীরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান হতে পারে। পৃথিবীতে কম বুদ্ধি স¤পন্ন প্রাণীদের সঙ্গে বুদ্ধিমান প্রাণীর সাক্ষাতের ইতিহাস খুব সুখকর নয়। আমি মনে করি, ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যাপারে অতি উৎসাহী না হওয়াই ভাল।
পৃথিবী ধংসের প্রসঙ্গেঃ
এমনটা হতে পারে হাজার হাজার কোটি বছর ধরে সূর্যের দিকে ঘুরতে ঘুরতে- একটা সময়ের পর। আপাতত এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
মৃত্যু প্রসঙ্গেঃ
গত ৪৯ বছর ধরেই আমি মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে বেঁচে আছি। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। তবে খুব তাড়াতাড়ি মরতেও চাই না আমি। এর আগে অনেক কিছু করার আছে আমার।