প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা শিথিল করা যাবে না। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগেই তৈরি হয়েছে এই দেশ।
কোটা পূরণ না হলে মেধাবীরা সুযোগ পাবে।
বুধবার চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসে- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ- এর বিরুদ্ধে ছিল বলেই ক্ষমতায় আসতে পারেনি।
বাংলাদেশের মাটিতে দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে এখন সাজা ভোগ করছে।
বিএনপি আইনকানুন, আদালত মানে না বলেই সাজার রায় মানতে চায় না। বক্তৃতার আগে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন ও উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে গেছেন। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলতে পারি। বাংলাদেশকে কেউ আর অবহেলা করতে পারবে না।’
বুধবার চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশকে কেউ আর অবহেলা করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না। কোনো মানুষ কুঁড়েঘরে থাকবে না। যাদের ঘর নেই আমরা তাদের ঘর করে দেব বিনা পয়সায়। যাদের জমি নেই তাদের আমরা খাসজমি দিয়ে দেব। যাদের জমি আছে ঘর করার টাকা নেই, তাদের টাকা দেব ঘর তৈরি করার।’
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম নিজের অর্থে আমরা পদ্মা সেতু করব। যে কথা বলেছিলাম সে কথা রেখেছি। নিজের অর্থে আমরা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সবার হাতে মোবাইল ফোন। থ্রিজি চালু করেছিলাম। ফোরজি চালু করে দিয়েছি। আজ সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস। ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। ৮ হাজার ৫০০ পোস্ট অফিস ডিজিটাল সেন্টার হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনাদের স্বজনরা বিদেশে থাকে। আগে বছরের পর বছর দেখা হতো না। কবে একখানা চিঠি আসবে বসে থাকতে হতো। আজকে মোবাইল ফোন হাতের মুঠোয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে পারেন, চেহারা দেখতে পারেন।
ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে আপনারা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবাসী স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, দেখতে পারেন, সে সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হলে এটা আরও সহজ হয়ে যাবে।