গুছিয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করুন :
অফিসে যতটুকু সময় থাকবেন। যতটুকু কাজ করবেন। সে কাজটুকু যেন গোছানো হয়। পরিকল্পনা মত হয়। অগছালো কাজ ক্যারিয়ারেরই জন্য ক্ষতিকর। গোছানো মানুষগুলোই তর তর করে উপড়ে ইঠে যায়।
আগামীকাল কোন কাজগুলো করবেন। কোন কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই তালিকাটা আজকেই করুন। টুকটাক কাজ হলেও নোট বইয়ে লিখে রাখা ভালো। প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায়।
কাজ শেষে সময়টা লিখতে পারেন। তাহলে নিজেই নিজেকে যাচাই করা সম্ভব। কোন কাজে কেমন সময় লাগে ধারণা থাকা ভাল। যা পরবর্তীতে এটা কর্মক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
কাজের মাঝে বিরতি দিন :
এক নিঃশ্বাসে চোখের পলকও ফেলবেন না। শুধু কাজের মাঝে ডুব দিয়ে রইলেন। জানলেও না এমনটা স্থাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এক নাগারে অনেকক্ষণ কাজ করে। যারা করে না। যারা বিরতি দিয়ে কাজ করে। তাদের চেয়ে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। ঘণ্টাখানেক পরপর হেঁটে আসুন। চোখে মুখে পানি দিয়ে আসতে পারেন।
গবেষণায় বলা হয়, টানা ৩০ মিনিট হাটার চেয়ে ঘণ্টাখানেক পরপর সামান্য সময় হাঁটার কাজে উপকার বেশি হয়।
সম্প্রতি নিউইয়ক টাইমসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে,অফিসে কাজের সময় প্র্রতি এক ঘণ্টা পরপর মিনিট পাঁচেক হাঁটলে অবসাদ দুর হয়।
কৌশল :
প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এত চোখে প্রশান্তি আসবে। কিছুক্ষণ পর পর জোড়ে শ্বাস নিতে পারেন। এটাও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
প্রাণ খুলে হাসুন : অফিস হাসি ঠাট্টার জায়গা নয়। তবে গুমরা মুখো হয়ে থাকবেন তাও নয়। ক্লান্তি ভর করেছে। মাথা ঝিম ঝিম করছে। সব কাজ বন্ধ করুন। মজার ভিডিও, লেখা, কার্টুন দেখতে পারেন। হতে পারে খানিকটা গল্পও।
ফুরফুরে মেজাজ, মুখে হাসির দেখা মিলবে এমন কাজই করুন। এতে ক্লান্তি দুর হবে। কাজে উদ্দম ফিরে পাবেন।
ভেবেচিন্তে কাজ করুন :
বস নতুন কাজ দিল। ওমনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কাজটা কি? কীভাবে করবেন। একটুও ভাবলেন না। বুঝেও নিলেন না। এমন চঞ্চল স্বভাবের যারা। তারা এক কাজ দশবার করেন। কারণ বস পছন্দ করে না। বারবার সংশোধন করেন। না বুঝে কাজে নামলে এমনটাই হয়। তাই কাজটা কি বুঝে নিন।
পূর্বে এই কাজটা করা হয়ে থাকলে সে রিপোর্ট দেখুন। একটু চিন্তা করুন। কাজটি করার অনেক পথ আছে। সঠিক পথটা ভেবে চিন্তে বেছে নিন।